মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল। নির্বাচনে পরাজয়কে মেনে নিতে না পেরে আদালতে করা চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইয়ামিন। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। খবর আলজাজিরা।
ইয়ামিনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে। বুধবার রাতে মালেতে বিরোধী দলের আইনজীবী হাসান লতিফ পুলিশ সদর দফতরের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে না। আমরা খবর পেয়েছি তিনি যেকোনো মুহূর্তে দেশ ছাড়তে পারেন এবং এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। ইয়ামিনের দেশত্যাগ ঠেকিয়ে পুলিশের প্রতি তার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান ওই আইনজীবী।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইয়ামিনের মুখপাত্র মুয়াজ আলী।
স্থানীয় সংবাদপত্র মিহারুকে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে যাবেন না। তিনি যেকোনো তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত। ৫৯ বছর বয়সী ইয়ামিন গত ২৩ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভারতের অন্যতম মিত্র ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহর কাছে পরাজিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৬ শতাংশ কম ভোট পান চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ফলাফলকে স্বাগত জানায়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ইয়ামিন বলেন, জনগণের রায় তিনি মেনে নিয়েছেন। তবে কয়েকদিন পর তিনি অভিযোগ তোলেন নির্বাচনে নানা অনিয়ম হয়েছে।
