খাদ্যপণ্য চাল আমদানিতে দেওয়া বিশেষ ছাড় প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র স্থাপনের যে সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীদের গৃহীত অগ্রিম ও ঋণ সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ ও সমন্বয় করার সুযোগও বন্ধ করে আগের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ধানের উৎপাদন সন্তোষজনক হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক ও স্থানীয় চাল উৎপাদকদের ধান/চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ কৃষকদের ধান চাষে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ঋণঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করে ঋণপত্র খোলার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো। তবে কোনো অবস্থায় শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া রিভলভিং সিসি অথবা ওডি ঋণের ক্ষেত্রে স্থানীয় মিলমালিকরাসহ সকল ধান ও চাল ব্যবসায়ীদের গৃহীত অগ্রিম কিংবা ঋণ সর্বোচ্চ ৪৫ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ সমন্বয় করতে হবে মর্মে পুনর্নির্দেশনা প্রদান করা হলো।