• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আসবাবপত্রে রফতানি আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ

২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানি ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে

ছবি: সংগৃহীত

আমদানি-রফতানি

আসবাবপত্রে রফতানি আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৮

দেশের বাইরে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র ও গৃহস্থলী পণ্য। গত এক দশক ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এর রফতানি আয়। ফলে বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র। এর ধারাবাহিকতায় বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানি ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলারের আসবাবপত্র রফতানি হয়েছে। এর আগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

দেশের আসবাবশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের দাবি-গুণগতমান এবং যুগোপযোগি নকশায় আসবাবপত্র তৈরির ফলে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র প্রিয় হয়ে উঠছে।তাই নতুনত্ব আর আধুনিকতায় গত এক দশকে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র শিল্প।

বর্তমানে আরব বিশ্ব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মূলত বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র রফতানি হচ্ছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে,বিগত অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার।এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১ লাখ ডলার রফতানি আয় বেশি হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আসবাবপত্র রফতানিকারক সমিতির সভাপতি কে এম আক্তরাজ্জামান বলেন,নিত্যনতুন নকশা,মানসম্মত কাঠ আর কারিগরদের দক্ষতায় তৈরি করা বাংলাদেশের আসবাবপত্রের মান খুব ভালো।ফলে প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের বিপুল চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হচ্ছে।

ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য গুণগতমান উন্নয়ন এবং ডিজাইনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ খাতের উদ্যোক্তরা বলছেন,আসবাবপত্র শিল্পের বিশ্ববাজারে বর্তমানে বাংলাদেশকে চীনের বিকল্প ভাবা হচ্ছে।কানাডা,চীন, ইতালী, জার্মানী ও মালয়েশিয়ার মত বৃহত আসবাবপত্র রফতানিকারকদেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

এ বিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বিজয় ভট্টাচার্য বাসসকে বলেন,দেশের আসবাবপত্র শিল্পকে স্থায়ী রফতানি পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আসবাবপত্র রফতানিতে দেয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা। নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য তৈরিতে সরকার ব্যবসায়ীদের সহায়তা করছে।

তিনি জানান,গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রফতানি আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এবং প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে।গত বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১ লাখ ডলারের বেশি আসবাবপত্র রফতানি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে কিছু প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানোর দাবি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads