• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
চলতি অর্থবছর রফতানি আয়ের লক্ষ্য ৪৪ বিলিয়ন ডলার

চট্টগ্রাম বন্দর

ছবি: সংগৃহীত

আমদানি-রফতানি

চলতি অর্থবছর রফতানি আয়ের লক্ষ্য ৪৪ বিলিয়ন ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ আগস্ট ২০১৮

চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) রফতানি আয়ের লক্ষ্য ৪৪ বিলিয়ন ডলার ঠিক করেছে সরকার। তবে সেবা খাত বাদ দিয়ে এই আয় ধরা হয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

অর্থাৎ মোট আয়ের ৩৯ বিলিয়ন ডলার আসবে পণ্য রফতানি থেকে। আর  সেবা রফতানি করে আসবে ৫ বিলিয়ন ডলার। মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৩২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার আসবে পোশাক খাত থেকে।

গতকাল বুধবার দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অর্থবছরের এই রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনী বছর হলেও এই রফতানি আয় অর্জন করা সম্ভব। কারণ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণভাবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আর রফতানি আয় বাড়াতে নতুন নতুন পণ্য ও নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে। এবার রফতানি বাড়াতে ৩৬টি পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, রফতানি আয়ের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব। তবে রফতানিতে বাধাগুলো দূর করতে হবে। আমাদের অবকাঠামো সমস্যা রয়েছে। বন্দরে সমস্যা রয়েছে।

অপরদিকে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদ্যমান বাজারগুলোয় আর প্রবৃদ্ধি হবে না। তাই নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। চীন, ভারত, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া নতুন বাজার হতে পারে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে রফতানি আয়ের লক্ষ্য বেড়েছে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। এবার রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।  

রফতানির লক্ষ্য ঘোষণা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত বছর আমরা পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় করি ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। এবার পোশাক খাত থেকে ৩২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন আয় ধরা হয়েছে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ বছর তারা সব ঠিক থাকলে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবেন। সরকার তাদের সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। বর্তমানে নতুন বাজারে পোশাক রফতানি করলে ৩ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। তবে সেটি গতকাল বুধবার থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় করতে চায় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। তবে গত বছর এই খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকার মনে করছে, এবার এই খাত থেকে রফতানি আয় বাড়বে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩ দশমিক শতাংশ।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোয় যেসব কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের লক্ষ্য বেঁধে দিতে হবে।  জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা সক্রিয় হলে রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি বড় বাজার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাকর্ডের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এরপর আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তাদের বিদায় নিতেই হবে। এ ব্যাপারে আদালতের রায় রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads