• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
চার ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

গতকাল বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ ক্রয়ের লক্ষ্যে একটি চুক্তিপত্র সই হয়

ছবি: সংগৃহীত

আমদানি-রফতানি

চার ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ আগস্ট ২০১৮

কন্টেইনার জাহাজ থেকে দ্রুততার সঙ্গে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিংয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ ক্রয়ের জন্য চুক্তিপত্র সই হয়েছে।

চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড ক্রেনগুলো সরবরাহ করবে। ৪০ টন ধারণ ক্ষমতার চারটি ক্রেন সংগ্রহে ব্যয় হবে ২৩৮ কোটি ৬১ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

গতকাল বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ ক্রয়ের লক্ষ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ এবং চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ কিজং।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শাজাহান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৭৭টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। ১১টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, চারটি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, পাঁচটি কন্টেইনার মুভার, ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, চারটি রিচ স্ট্যাকার এবং একটি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিগত ৮ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর তার কর্মদক্ষতা এবং সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২৭ ধাপ এগিয়ে এ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’-এর ২০১৬ সালের জরিপে (২০১৭ সালে প্রকাশিত) বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালের জরিপে (২০১৬ সালে প্রকাশিত) বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ছয়টি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ সংগ্রহের লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরে ঢাকায় চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিল, যা এ বছরের আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে পাওয়া যাবে। এ ছয়টি ক্রেন ক্রয়ে প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ওই ছয়টি এবং নতুন চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) সংযোজন করা হবে।

এর ফলে, একসঙ্গে পাঁচটি গিয়ারলেস জাহাজ থেকে এনসিটি-তে কন্টেইনার উঠানো নামানো যাবে। ঘণ্টায় গড়ে ২৫-৩২টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উপযোগী এ ক্রেন বন্দরে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এতে করে এনসিটি তথা চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার জন্য শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রিক্রেনসহ ৫১টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ২০টি রাবার টায়ার গ্যান্টি ক্রেন (আরটিজি), ১০টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার (এসসি), একটি রেল মাউন্টেড ইয়ার্ড ক্রেন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, পাঁচটি কন্টেইনার মোভার ও চারটি খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং রিচ স্টেকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads