• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মনিরামপুরের খেজুর গুড় যাচ্ছে বিদেশেও

ছবি: বাংলাদেশের খবর

আমদানি-রফতানি

মনিরামপুরের খেজুর গুড় যাচ্ছে বিদেশেও

  • জাহাঙ্গীর আলম, মনিরামপুর (যশোর)
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’- এই যশ মূলত মনিরামপুরের খেজুরের গুড়ের কারণে। সেই খেজুরের গুড় এখন প্লাস্টিকর ড্রামভর্তি হয়ে চলে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ছুটে আসে এখানে গুড় কিনতে। তারা স্থানীয় বাজার ঘুরে হাজার হাজার (ঠিলে) গুড় কেনে, সেগুলো ড্রামে ভরে নিয়ে যান নিজ এলাকায়। একই প্রক্রিয়ায় এ উপজেলার গুড় যাচ্ছে বিদেশেও।

জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহের উপজেলার পৌর শহর, রাজগঞ্জ, চিনাটোলা, নেহালপুর ও ঢাকুরিয়া বাজারের হাট বসে। এসব হাটে গুড় বেচাকেনা সন্ধ্যায় মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এমনকি গুড়ের বাজার ধরতে ব্যাপারীরা হাটবারের আগের দিন এসে এলাকায় জড়ো হয়ে হয়।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চিনাটোলা গুড়ের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে গাছিরা গুড়ের ভাঁড় নিয়ে বিক্রির জন্য সারিবদ্ধভাবে বসে আছে। দেখতে দেখতে হাজির হয় পাইকারি ব্যাপারীর দল। প্রতিটি তরল গুড়ের ভাঁড় ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা ও শুকনো গুড়ের ভাঁড় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। শীত শেষের কারণে বর্তমানে দাম কিছুটা কম।

গত সোমবার রাজগঞ্জ হাটে দেখা গেছে, প্রতি ভাঁড় গুড়ের দাম ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ব্যাপারীরা গুড়ের ভাঁড় কিনে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রেখেছে। কেনাবেচা শেষে ব্যাপারীরা সব ভাঁড় থেকে গুড় ঢেলে ড্রাম ভর্তি করে অনায়াসে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এরপর এসব গুড় দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। চিনাটোলা বাজার কমিটির সভাপতি নুর আলী বলেন, ইতঃপূর্বে গুড়ের ভাঁড় ভ্যান কিংবা পিকআপে করে নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু পথিমধ্যে রাস্তা ভাঙাচুরা হওয়ায় ভ্যান উল্টে কিংবা ঝাঁকুনিতে গুড়ের ভাঁড় ভেঙে নষ্ট হয়ে যেত। তাই এখন আমরা গুড় নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্গে করে প্লাস্টিকের ড্রাম নিয়ে আসি। যাতে ড্রামে করে নিশ্চিন্তে পিকআপ কিংবা ট্রাক গাড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যেতে পারি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads