• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
করদাতা সংগ্রহে জরিপ করবে শিক্ষার্থীরা

রাজস্ব ভবন

সংগৃহীত ছবি

রাজস্ব

করদাতা সংগ্রহে জরিপ করবে শিক্ষার্থীরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নতুন করদাতা সংগ্রহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শিক্ষার্থীদের দিয়ে সারা দেশে কর জরিপ চালানো হবে। এ জরিপে তারা মানুষের বাড়ি, গাড়ি, অন্যান্য সম্পদ এবং লাইফস্টাইলের তথ্য সংগ্রহ করবে। বাসস

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশে করযোগ্য অনেক মানুষ আয়কর দেন না। এসব ব্যক্তিকে করের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করব। চলতি অর্থবছরে এ জরিপ শুরু হবে।

প্রথমদিকে ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে এ ধরনের জরিপ চালানো হবে। পরবর্তীতে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হবে।’

গত ২৫ জানুয়ারি এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে কর জরিপ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে রাজস্ব প্রশাসন এ ধরনের উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা এ কাজে যুক্ত হতে আগ্রহী।’

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মূলত বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন- ওই বাড়ির মালিক বা যারা ভাড়া থাকেন তাদের সবার কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) আছে কি না। কিংবা তাদের সম্পদের পরিমাণ বা লাইফস্টাইল কেমন। এর মাধ্যমে তারা একটি অ্যাসেসমেন্ট করবে। শিক্ষার্থীদের এসব কাজে রাজস্ব কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান। জরিপ পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সম্মানী দেওয়া হবে। এতে তারা আর্থিকভাবে যেমন উপকৃত হবেন পাশাপাশি তাদের মধ্যে কর্মদক্ষতাও তৈরি হবে।

চলতি অর্থবছরে শিক্ষার্থীদের দিয়ে যে কর-জরিপ চালানো হবে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবেন। পরবর্তীতে এ কার্যক্রমে আরো অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব প্রশাসনের।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে জিডিপিতে করের অবদান ১০ শতাংশ।

এ হার ১৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এর জন্য করজাল সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। তাই নতুন করদাতা সংগ্রহকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কেননা, আমরা মনে করছি-করজালে যত মানুষকে যুক্ত করতে পারব-রাজস্ব আয় তত বাড়বে।

বর্তমানে দেশে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (ই-টিআইএন) সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এর মধ্যে কর দেন মাত্র ১৪ লাখ মানুষ। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দেশের কর প্রদানে সামর্থ্যবান মানুষের ৬৮ শতাংশ কর দেন না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads