• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশে আসবে ৪৮৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি ১০

লোগো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)

রাজস্ব

বাংলাদেশে আসবে ৪৮৪ কোটি ডলার

সহায়তার প্রতিশ্রুতি ১০ ভাগ বাড়িয়েছে এডিবি

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৯

সদস্য দেশগুলোকে ২০১৮ সালে ২ হাজার ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামীতে ঋণ ও অনুদান হিসেবে এ অর্থ ছাড় করবে সংস্থাটি। আগের বছর ১ হাজার ৯৭১ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এডিবি। এ হিসাবে এক বছরে সহায়তা প্রায় ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ব্যক্তি খাত, যৌথ অর্থায়ন আর নিজস্ব তহবিলসহ গত বছর সংস্থার প্রতিশ্রুতি দাঁড়িয়েছে মোট ৩ হাজার ৫৮২ কোটি ডলারে। এডিবির ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি এডিবির সদর দফতর ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি এডিবির তহবিল থেকে সহায়তার অর্থ ছাড়ের পরিমাণও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছর ঋণ ও অনুদান বাবদ এডিবি ছাড় করেছে ১ হাজার ৪১৯ কোটি ডলার। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৪৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে এক বছরে এডিবির অর্থ ছাড় বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

বাংলাদেশে গত বছর ২২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় এডিবি। এর মধ্যে নিয়মিত ওসিআর তহবিল থেকে আসবে ১২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ৮৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আসবে নমনীয় ওসিআর তহবিল থেকে। আর অনুদান হিসেবে আসবে ১০ কোটি ডলার। অবশ্য অন্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশকে ২৬২ কোটি ৩২ লাখ ডলার সহায়তা দেবে এডিবি। এর মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৬১ কোটি ৯১ লাখ ডলার, কারিগরি সহায়তা বাবদ আসবে ৪১ লাখ ডলার। নিজস্ব উৎস ও যৌথ সহায়তা মিলিয়ে গত বছর বাংলাদশকে ৪৮৪ কোটি ৭ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি।

প্রতিবেদনে এডিবি জানিয়েছে, সংস্থাটি গত বছর অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে ব্যক্তিখাতে এডিবির ৭১৭ কোটি ডলার যৌথ সহায়তা রয়েছে। ব্যক্তি খাত, যৌথ অর্থায়ন আর নিজস্ব তহবিলসহ গত বছর এডিবির প্রতিশ্রুতি দাঁড়িয়েছে মোট ৩ হাজার ৫৮২ কোটি ডলার। আগের বছরের চেয়ে এর পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৩ ভাগ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংস্থাটি ব্যক্তি খাতে গত বছর নিজ তহবিল থেকে ৩১৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ খাতে সংস্থার সহায়তা বেড়েছে এক বছরে ৩৭ শতাংশ। এডিবির মোট সহায়তার সাড়ে শতাংশ উন্নীত হয়েছে বেসরকারি খাতে।

প্রতিবেদনে এডিবির প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও বলেন, ট্রাটেজি-২০৩০ এর আওতায় এডিবি সদস্য দেশগুলোকে শক্তিশালি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ এলাকার দেশগুলো উন্নয়নের দিকে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ সব দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত এডিবি।

জলবায়ু খাতে সহায়তায়ও এডিবি এগিয়ে আসছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ খাতে ২০১৮ সালে ৩৬০ কোটি ডলার সহায়তার অনুমোদন করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু খাতে বার্ষিক প্রতিশ্রুতি ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে এডিবি। লিঙ্গ-বৈষম্য কমাতেও এডিবি কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংস্থার অনুমোদন দেওয়া ৪৭ শতাংশ প্রকল্প সরাসরি লিঙ্গ-বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশের রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। এ খাতের দুই প্রকল্পে সংস্থাটি দেবে ৮৫ কোটি ডলার। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির চতুর্থ পর্যায় বাস্তবায়নেও আসবে ৫০ কোটি ডলার। রেলের রোলিং স্টক উন্নয়নে ৩৬ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি। ৩৫ কোটি ডলার দেবে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads