• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

রাজস্ব

আজ আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস

রাজস্বে অবদান বাড়ছে শুল্কের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

দেশের রাজস্বে অবদান বাড়ছে কাস্টমসের (শুল্ক)। ধারাবাহিকভাবে শুল্ক থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় বাড়ছে। তবে এনবিআর রাজস্বের প্রধান খাতের তালিকায় এখনো তৃতীয় শুল্ক। আর শীর্ষে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে মূসক যা ভ্যাট হিসেবে পরিচিত। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার সারা বিশ্বে পালিত হবে আন্তর্জাতিক রাজস্ব দিবস। দিবসটি পালিত হবে বাংলাদেশেও। এনবিআর বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কাস্টমস দিবস পালনের জন্য। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে উন্নয়নের জন্য শুল্ক।

এনবিআরের হিসাব বলছে, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের তুলনায় আমদানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ তিন গুণের বেশি বেড়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ৩৮২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে শুল্ক থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত আহরণ হয়েছে ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। অবশ্য এই আহরণ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৭ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা কম।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ কাস্টমসের অবদান অপরিসীম।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত শুল্কায়ন ও খালাসের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বস্ত করদাতাদের দ্রুত সেবা প্রদান, আমদানি-রপ্তানি সরলীকরণ, কনটেইনার/কার্গো স্ক্যানারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি, এর মাধ্যমে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ কাস্টমস নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যে গতি সঞ্চার করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে—এ প্রত্যাশা করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সংস্থাটি আধুনিক ও সহজতর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে নেতৃত্ব, পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদানসহ বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এ বছর সংস্থাটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত দিকগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশের টেকসই ভবিষ্যৎ অর্জনে কাস্টমসের সক্রিয় ভূমিকার ওপর গুরত্বারোপ করেছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের ওপরেও জোর দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন দফা সরকার গঠন করে সমগ্র দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ রহিত করে যুগোপযোগী, সহজ, সমন্বিত ও সুসংহত নতুন কাস্টমস আইন, ২০১৪ প্রণয়ন করেছি, যা ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads