গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে চার যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার দুপুরের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২৫ জন।
জামালপুর থেকে ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেনের এ দুর্ঘটনার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. রাকিবুল জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টঙ্গীর রেলওয়ে জংশনের কাছে নতুন বাজার এলাকায় ট্রেনটির পেছনের দুইটি বগি লাইচ্যুত হয়ে পাশের লাইনের ওপর কাত হয়ে পড়ে। এ সময় পাশের অন্য ট্রেনের দুই বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় ৪ যাত্রী। মরদেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে ওই চার আরোহীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে টঙ্গীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত সাত যাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত মো. শাহাদাতকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ির এএসআই বাবুল মিয়া।
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি বাকি ছয়জন হলেন, বাদল, সবুজ, ইসরাফিল, আলমগীর, বাদল ও মো. শরিফ। তাদের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর সেখানে ছুটে যান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত বগিগুলো সরিয়ে নিয়ে রেললাইন পরিষ্কার করে ফেলা হবে ও ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।