• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শতাধিক দোকান পুড়ে ক্ষতি শত কোটি টাকা

ময়মনসংহ হকার্স মার্কেটে আগুন

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

ময়মনসংহ হকার্স মার্কেটে আগুন

শতাধিক দোকান পুড়ে ক্ষতি শত কোটি টাকা

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৮

ময়মনসিংহ নগরের ব্যস্ততম গাঙ্গিনারপাড় এলাকার হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে শতাধিক দোকান। ঈদের মাত্র দিন দশেক আগে কেনাকাটার জমজমাট মুহূর্তে ব্যবসার মালামাল আগুনে পুড়ে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, আগুনে প্রায় শত কোটি টাকার মালামাল ছাই হয়ে গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে। একই সঙ্গে র্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ময়মনসিংহ, ত্রিশাল, মুক্তাগাছা ও ঈশ্বরগঞ্জসহ মোট ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি তিনি। ওই কর্মকর্তা জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে হর্কাস মার্কেটের আগুন পার্শ্ববর্তী মসজিদ মার্কেটেও লাগে। তবে মসজিদ মার্কেটকে রক্ষা করা হয়েছে। আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।

হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ওই মার্কেটে দোকান আছে ১৩৮টি। এর মধ্যে পোশাক, জুতা, গহনা, প্রসাধনী ছাড়াও বেশকিছু দর্জির দোকান ছিল। লোকজন মাত্র ৪-৫টা দোকানের মালামাল বের করতে পেরেছে। বাকি সব শেষ। ঈদের মাত্র কয়েক দিন আগে এই অগ্নিকাণ্ডে এসব দোকান পুড়ে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে দোকান মালিকদের।

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে তাদের জীবনের এমন সর্বনাশ মেনে নিতে পারছেন না। আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত শত কোটি টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের পরিবার পরিজন ও ব্যবসা বাঁচাতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের আর্থিক সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। ঘটনার পর হকার্স মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের তিনি এ ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, পুড়ে যাওয়া দোকানের মালামালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার পর ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমি কথা বলব। আগামী দুই দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করব। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার এসপি সৈয়দ নূরুল ইসলাম, পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ জেলার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads