• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ফের সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ফের সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৮

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে দুই বাসের রেষারেষিতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ফের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। 

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তৃতীয় দিনের মতো বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিকে ফার্মগেটে বাবুল টাওয়ারের সামনে স্থানীয় কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।

ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে  পুলিশ রয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি

সোমবার  কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকালে রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্র সাইদুল ইসলাম আপন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি তুলে ধরে।  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আজ সকাল থেকে আবারো আন্দোলন চলবে বলে জানায় সে। ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বেপরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি ও এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন, নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে তাদের বাসে তুলতে হবে, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ ও ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭) মিরপুরের দিক থেকে বিমানবন্দর সড়কের দিকে আসার পথে ফ্লাইওভারেই একে অপরকে ওভারটেক করে পাল্লা দিয়ে নিচে নামছিল। উড়াল সড়কের গোড়ায় রমিজ উদ্দিন কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, কয়েকজন হেঁটে যাচ্ছিল। জাবালে নূর বাসে ওঠার সময় অপর গাড়িটি বামে ঢুকে চাপা দেয় শিক্ষার্থীদের। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল করিম। আহত হয় সজীব, আরিসাসহ ১০-১২ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। দুই সহপাঠীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। রোববার রাতেই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন মিমের বাবা জাহাঙ্গীর।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads