• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নেত্রকোনায় ৪ জনসহ সড়কে ঝরল আরো ৭ প্রাণ 

প্রতীকী ছবি

দুর্ঘটনা

নেত্রকোনায় ৪ জনসহ সড়কে ঝরল আরো ৭ প্রাণ 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সড়কে প্রাণহানির লাগাম কোনোভাবেই টানা যাচ্ছে না। নানা উদ্যোগের পরও একটার পর একটা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গতকাল শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় চারজন, দিনাজপুরে একজন, কুষ্টিয়ায় একজন ও গোপালগঞ্জে একজন। এ ছাড়া গাইবান্ধায় বাস-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—  

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ময়মনসিংহ-কেন্দুয়া সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার মাসকা বাজার এলাকায় সংঘটিত ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতরা হলেন কেন্দুয়ার বলাই শিমুল গ্রামের মৃত আদুর রহমানের ছেলে `ুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক জামাল মিয়া (২৮), কুতুবপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে নাজির উদ্দিন (২৭), কাউরাট গ্রামের ভুট্ট মিয়ার ছেলে শরিফ মিয়া (২০) এবং সোয়াই গ্রামের হান্নান মাস্টারের ছেলে কলেজছাত্র মুরাদ মিয়া (২২)। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরা হলেন কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে গোলাম রব্বানী, দুদু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ও সাইফুলের ছেলে সাকিব মিয়া। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। কাঁঠালতলা মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রাম থেকে কেন্দুয়াগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চার যাত্রী মারা যান। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়েছে।  

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সড়কের পাশে থেমে থাকা ট্রাক্টরের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে চারজনই একই পরিবারের। তারা হলেন জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নাচনি ঘাগোয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে এমদাদুল (২৬), তার স্ত্রী কাকলী বেগম (২৬), মেয়ে হেনা খাতুন (৫) ও বোন আফরোজা বেগম (৩০)। নিহত অন্য যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দরবার পরিবহনের যাত্রীবাহী দ্রুতগতির বাস গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে মহদিপুর রাইসমিল এলাকায় থেমে থাকা একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে  ঘটনাস্থলেই বাসের চার যাত্রী নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় এক শিশু। 

কুষ্টিয়া : বাসের ধাক্কায় শিশু আকিফার মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই কুষ্টিয়ায় ফের ট্রাকের ধাক্কায় আহত আরেক শিশু মারা গেছে। গত শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কের কানাবিলের মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক শাকিবকে (৭) ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত ওই শিশু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতেই মারা যায়। নিহত শাকিব শহরতলির মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। 

হিলি : দিনাজপুরের হিলিতে ট্রাকচাপায় ফিরোজা বেগম নামের (৩০) এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হিলি-জয়পুরহাট সড়কে হীরামতি সিনেমা হলের সামনে একটি ট্রাক ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত ওই নারীর দীর্ঘদিন ধরে হিলির চুড়িপট্টি এলাকায় সববাস করে আসছিল। 

গোপালগঞ্জ :  জেলার কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাসের নিচে চাপা পড়ে আবু সাইদ তালুকদার (৫৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। গতকাল শনিবার বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লোকাল বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়।  

এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে পথচারী আবু সাইদ তালুকদার ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় বাসের অপর ১০ যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads