মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে মাটি বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিখোঁজ রয়েছেন ২০ শ্রমিক। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে একটি ট্যাংকারের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে মুন্সীগঞ্জ সদরের চরঝাপটা ও গজারিয়া উপজেলার কালীপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত রয়েছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্নিশাসক।
এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রলারটি শনাক্ত করা যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের কথা অনুযায়ী মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতার কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজ মিলেনি।
নিখোঁজদের পরিচয়-ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানা গেছে।
এরা হচ্ছেন-পাবনার ভাঙ্গুরিয়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুন্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রমাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নুর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রমানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাছান আলী, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।