• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ১৪২

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ১৪২

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০১৯

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-যাতায়াত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি। প্রতিবেদনটি বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কে বড় ধরনের যানজট ছিল না। নৌ ও রেলপথ ছিল দুর্ঘটনামুক্ত। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল নিরবচ্ছিন্ন ছিল। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও ছিল স্বাভাবিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদ-সার্ভিসে পর্যাপ্তসংখ্যক লঞ্চ থাকায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ স্বাভাবিক ও যাত্রীভোগান্তি কম ছিল। তবে এক শ্রেণির নৌশ্রমিক ও কর্মচারী ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন।

অতিরিক্ত ভাড়ার প্রসঙ্গে ওই প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদ-যাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ঈদের আগে ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-পাটুরিয়া ও ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদফেরত যাত্রীদের কাছ থেকেও একইভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এমনকি লঞ্চ ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

ঈদযাত্রায় আহত-নিহতের বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের আগে ৩ জুন সোমবার শেষ কর্মদিবস থাকলেও এর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক এবং রোববার শবেকদরের ছুটি ছিল। এ কারণে ঈদ-পূর্ব সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত ঈদযাত্রা শুরু হয়। ওইদিন সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয় ও আটজন আহত হয়। ৩১ মে ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ছয়জন ও সাতজন। ১ জুন ১১টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৩১। ২ জুন ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। ৪ জুন দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬ ও ৬২ জন। ৫ জুন ঈদুল ফিতরের দিন ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ৬ জুন নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩। ওইদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। ৭ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১১ জনের, আহত হয়েছেন ১৮ জন। ৮ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ৯ জুন ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ ও ২৪ জন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads