• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদযাত্রায় নিহত ২৪৭

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

ঈদযাত্রায় নিহত ২৪৭

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৯

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে গত ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ২১২টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন নিহত ও ৬৬৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, এবারের ঈদে রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটি থাকায় ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কিছুটা কমেছে। এরপরও ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩০ মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরার সময় ১০ জুন পর্যন্ত গত ১২ দিনে ১৮৫টি দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছেন। একই সময়ে নৌপথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। উল্লিখিত সময়ে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক-কভার্ড ভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি কার-মাইক্রোবাস, ৩০টি নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক, অটোরিকশা, ৬৪টি মোটরসাইকেল, ২৬টি অন্যান্য যানবাহন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষ, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালকের হাতে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেওয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন-করিমন, মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল এবং বিরতিহীন/বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়। 

এ সময় সংগঠনটি দুর্ঘটনা কমাতে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এগুলো হলো যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, ফিটনেস পদ্ধতি ডিজিটাল করা, মহাসড়কে নছিমন-করিমন ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন এবং রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইসমাইল গাজী দেলোয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামারুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল যুবায়ের, অর্থ সম্পাদক সায়মুন নাহার জিদনী প্রমুখ। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads