• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
'রেল লাইনের' ত্রুটিতে দুর্ঘটনার কবলে জয়ন্তিকা ও কালনী  এক্সপ্রেস

রেলের এই হিল ব্লকের কারণে টানা দুই দিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

দুর্ঘটনা

কুলাউড়ায় দুই দিনে দুই ট্রেন লাইনচ্যুত

'রেল লাইনের' ত্রুটিতে দুর্ঘটনার কবলে জয়ন্তিকা ও কালনী এক্সপ্রেস

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৯

কুলাউড়ায় দুই দিনে দুই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনের পরিচালকের বগি ‘ঞ’ লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত বগি উদ্ধার করে স্টেশনে আনা হয়েছে। বগিটিকে রেখে ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে কুলাউড়া স্টেশন ছেড়ে যায় বলে স্টেশন মাস্টার মুহিব উদ্দিন নিশ্চিত করেন। এতে কেউ হতাহত হয়নি কিংবা ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি। এছাড়া গতকাল জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই স্থানে লাইনচ্যুত হয়।

জানা যায়, শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে উত্তর পার্শ্বে ঞ বগি লাইচ্যুত হয়। এসময় বিকট শব্দ হলে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হয়ে পড়েন। ট্রেন থামার পূর্ব মুহুর্ত হওয়ায় গতি ছিলো কম, ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মো. মুহিব উদ্দিন জানান, লাইনচ্যুত বগিটি রেখে সকাল ১১ টা নাগাদ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এ বিষয়ে এসএসআই সিগন্যাল মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানান. প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার জয়ন্তিকা যেভাবে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছিল একইভাবে এবং একই হিল ব্লক ছুটে কালনী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কবলিত হয়। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দ্বিতীয় দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের সহকারি প্রকৌশলী সিলেট দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করলেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। দুর্ঘটনাস্থলে না গিয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে গাড়ীতে বসেই কিছু তথ্য নিয়ে কুলাউড়া ত্যাগ করেন।

এদিকে টানা দু’দিন দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার পর যাত্রীরা ভয়ে টিকিট ফেরৎ দিয়ে বিকল্প পন্থায় ঢাকা গেছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বিলম্বে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে ঢাকা গেছেন।

কুলাউড়া থেকে শুক্রবারে ঢাকার যাত্রী সেলিম আহমদ ও শনিবারে ঢাকার যাত্রী মোতাহির আলম জানান, মনের মধ্যে ভয়, তারপরও বাধ্য হয়ে ট্রেনেই ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন রাতে কুলাউড়ার বরমচাল ইসলামাবাদ এলাকার বড়ছড়া ব্রিজে ঢাকাগামী উপবন ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads