বৃষ্টিতে বিপদজনক হয়ে উঠেছে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ। ঈদের ছুটির ৩দিনে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা এলাকায় সংসদ সদস্যের গাড়িসহ সাতটি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একই স্থানে ৩টি দুর্ঘটনায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার হাড়িখোলা মাজার সংলগ্ন স্থানে ৩টি বাস ও ১টি জিপসহ ৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে সাড়ে ১১টায় চান্দিনা ও দাউদকান্দির সীমান্তবর্তী এলাকা শব্দলপুর রাস্তার মাথায় একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একই দিন দুপুরে হাড়িখোলা-কাবিলপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়। এছাড়া রবিবার রাত পৌনে ২টায় মহাসড়কের চান্দিনা পালকি সিনেমা হল সংলগ্ন স্থানে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১০ যাত্রী। একই রাতে একই স্থানে মটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২জন আহত হয়।
নিহতরা হলেন- ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভরাটিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর (৩৮) ও লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম (৬)।
স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে যায়। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে উল্টে যায়।
উদ্ধার কাজের জন্য ঢাকাগামী লেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপরীত লেনে চলছিল চার লেনের সকল গাড়ি। আর ওই মুহূর্তে বিপরীত লেনের একই স্থানে ঢাকাগামী একটি ল্যান্ড ক্লোজার জিপকে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৩৪০) পিছন থেকে ধাক্কা দেয় হানিফ পরিবহনের একটি বাস। এতে জিপে থাকা যাত্রীরা সামান্য আহত হয়েছেন। ওই গাড়িতে ছিলেন কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম,তিনি অক্ষত রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই রিপন।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. তুষার আহমেদ জানান, আমাদের হাসপাতালে অন্তত ৩০জনের রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
