• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সড়কে ঝরল আরো ২৪ প্রাণ

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

সড়কে ঝরল আরো ২৪ প্রাণ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০১৯

এক দিনেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো শতাধিক। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ফেনী, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফেনী : ফেনীর লেমুয়ায় একটি পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে ৬ জন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনসহ ৭ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৭ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফেনী হাইওয়ে থানার সাব ইন্সপেক্টর কাউছার রহমার জানান, গত বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আদমজী থেকে প্রাইম প্লাস নামে একটি পিকনিক বাস রওনা হয়ে ঢাকার মীরপুর আসে রাত ২টায়, সেখান থেকে আরো কিছু যাত্রী নিয়ে রাত ২টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লেমুয়া নামক স্থানে পৌঁছলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের সম্মুখসহ অর্ধেকাংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। জানা যায়, বাসটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে ফেনীর ছাগলনাইয়ার শাহদাৎ (৩০), ঢাকার বিক্রমপুরের সুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন- ঢাকার মীরপুরের আসলামের ছেলে আখতার (২২), জগদাশীর ছেলে অপু (২৫), শওকত হোসেনের ছেলে ইকবাল (৩৮), মো. সেলিমের ছেলে  দুলাল (২৭), সকিনা (৬৫), নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার মনোয়ার হোসেনের কন্যা আছমা (১৮), মুন্নার ছেলে ফয়সাল (২৩), সামছু উদ্দিনের ছেলে মুন্না (৫০), আজম (১৮), মো সেলিমের ছেলে দুলাল (১৩), মাদারীপুরের আলী আছমতের ছেলে রিপন (৩০), টঙ্গীর আবদুল্লা শেখের ছেলে রিপন (৪০)। ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হোসেন সাম্মী বলেন, আমরা ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনকে পেয়েছি। ৭ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চািকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

ফরিদপুর : ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাসচালক রওশন মিয়া, মীরাকুণ্ড নামে এক নারী ও অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গার নওপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহত ৫০ জনকে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ২৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেলে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পর রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়লে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল থেকে রাজশাহীগামী তুহিন পরিবহন ও ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বাস দুটি সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তুহিন পরিবহনের যাত্রী আহত লিমা আক্তার জানান, লোকাল বাসটি উল্টোপাশে এসে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তখনই চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। একই বাসের অপর এক যাত্রী জানান, লোকাল বাসের বেপরোয়া চালানো এবং দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সরু কালভার্ট ব্রিজ হওয়ায় ওই বাসকে সাইড দিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

কিশোরগঞ্জ : কটিয়াদী উপজেলায় ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক তোফাজ্জলসহ (৩০) ৩ জন নিহত হয়েছেন। এবং আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ভৈরব কটিয়াদী মহাসড়কে আচমিতা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি নরসিংদী যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালক তোফাজ্জলসহ ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলো- তোফাজ্জল (৩০), কাদির ( ৩৫) ও ওমর (৪০)। আহতরা হলো- পরিমল, সিরাজ, গিয়াস উদ্দিন ও মতি। ড্রাইভার ছাড়া নিহত এবং আহতদের বাড়ি ইটনা উপজেলায়। এরা সবাই  ঈদ শেষে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নরসিংদী যাচ্ছিল। কটিয়াদী হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, ঘাতক ট্রাকটি ঘটনার পরপরই আটক করা হয়েছে। ট্রাকচালক পলাতক।

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : ভৈরবের অদূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা থানার মাহমুদাবাদ নামক স্থানে বাস দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত ও ১২ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যাত্রীর নাম হোসনে আরা বেগম (৫৮)। তার স্বামীর নাম সৈয়দ আলী খন্দকার, বাড়ি নরসিংদির রায়পুরা উপজেলার পাহাড়কান্দি গ্রামে। আহতরা হলেন- নাজমা বেগম (৪৫), তার স্বামী বাক্কিউদ্দিন ভূঁইয়া (৫২), দুই মেয়ে ইমা বেগম (২২) ও ইভা বেগম (১৮)। আহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালসহ বাজিতপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। যাত্রীরা জানান, ভৈরব-নরসিংদীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস মাহমুদাবাদ নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীতগামী একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে ব্রেক ফেল করে খাদে পড়ে যায়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বিপরীতগামী একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি ব্রেক ফেল করলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও বাসটি আটক করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের সখীপুরে পিকআপভ্যানের চাপায় ইসতিয়াক আহমেদ (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সখীপুর-গোড়াই সড়কের বোয়ালী উত্তরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইসতিয়াক আহমেদ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শাকিল আজাদের ছেলে। তিনি সরকারি মুজিব কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন জানান, সকালে ইসতিয়াক আহমেদ মোটরসাইকেলযোগে সখীপুর থেকে নলুয়া যাওয়ার সময় বোয়ালী উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যান তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে গিয়ে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

সিরাজগঞ্জ : বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকায় যাত্রীবাহী চারটি বাসের চতুর্মুখী সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ সহিদ আলম জানান, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস কামারখন্দের কোনাবাড়ী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ফাইভ স্টার পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় পেছন থেকে ডিপজল ও এনা পরিবহনের দুটি বাস হানিফ পরিবহনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে চতুর্মুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হানিফ পরিবহন ও ফাইভ স্টার বাসের সম্মুখভাগ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই হানিফ পরিবহনের চালক ও ফাইভ স্টারের একজন যাত্রী ও অন্য আরেক যাত্রী মারা যায়। এছাড়া দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫ জনের মতো আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গোপালগঞ্জ : কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় তুহিন মোল্লা (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী সাথী বেগম (২৫)। গতকাল দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তুহিন জেলা সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের আশরাফ মোল্লার ছেলে। কাশিয়ানী থানার এসআই প্রকাশ সরকার জানান, কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া থেকে তুহিন তার স্ত্রী সাথীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে গোপালপুর এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তুহিন নিহত এবং তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত সাথীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভোলা : ভোলায় মাহেন্দ্রচাপায় পারভেজ (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ভোলা অংশের ইলিশা ব্যারিস্টার কাছারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পারভেজ সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ব্যারিস্টার কাছারি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল পারভেজ। এ সময় ভোলাগামী একটি মাহেন্দ্র তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাহেন্দ্রচালককে আটক করেছে পুলিশ। ইলিশা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রতন কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাহেন্দ্রটি স্পিডে থাকায় বাসটিকে সাইড দিতে গিয়ে শিশুটিকে চাপা দেয়। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মাহেন্দ্রচালককে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের বাবুগঞ্জে বাসচাপায় এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) : চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন পৌর এলাকার শ্রীপুর খাঁ বাড়ির খোরশেদ আলম খাঁর ছেলে মো. জিদান খাঁ (১৯) ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার ফুলকান্দি গ্রামের কাশেম আলী (৩৫)। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের আটগ্রাম ও গত মঙ্গলবার বিকেলে চিওড়া এলাকায় দুটি ঘটনা ঘটে। মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবুল হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ফুলপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের চোখের সামনে জায়েদ (৬) নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় সিএনজিচালক শম্ভুগঞ্জের সিরাজ নামে আরেকজন ময়মনসিংহ হাসপাতলে মারা যান। এ ঘটনায় জায়েদের মা কাজল (২৫) ও ছোট বোন মুন্নী (৪), ফুফু তামান্না (২৫), দাদি বেগম (৪৫), দাদা আবুল হোসেনসহ (৫০)  একই পরিবারের ৫ জন আহত হন। ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ফুলপুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মোদকপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads