গত চার বছরে দেশে ২১ হাজার ৩৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২৯ হাজার ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৬৯ হাজার ৪২৮ জন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, এ প্রতিবেদনটি করা হয়। যদিও সংঘটিত দুর্ঘটনার সিংহভাগই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না বলেও জানান তারা। গতকাল সোমবার যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বেড়েছে। এ সময়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং বিপজ্জনক ওভারটেকিং বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। আয়তন ও জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় বাংলাদেশে যেভাবে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত চার বছরে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ হাজার ৯৪টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব যানবাহনের ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাস, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাইভেটকার-জিপ-মাইক্রোবাস ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, অটোরিকশা ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, মোটরসাইকেল ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ট্রাক্টর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এতে আরো বলা হয়, ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৬৪২ জন মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯১৪। ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩৯৭ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ১৯৩ জন আহত হয়েছেন। ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৪৬৬ জন আহত হয়েছেন।