• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চান্দিনায় শিশুসহ নিহত ৩; আহত ৬

ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কের চান্দিনার গোবিন্দপুর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩জনের মরদেহ।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

দুর্ঘটনা

বাস-ট্রাকের-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ

চান্দিনায় শিশুসহ নিহত ৩; আহত ৬

  • চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৯

কুমিল্লার চান্দিনায় বাস-ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকান্ডে ঘটনাস্থলে শিশুসহ ৩জন পুড়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন।

গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- কুমিল্লার অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেন এর মেয়ে রফজা (৭), আলেখারচর এলাকার ইউসুফ (৭০), কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পশ্চিমসিং ভূইয়া বাড়ির বাবুল ড্রাইভার (৪০)।

আহতরা হলো- নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের সকলের ২৫ থেকে ৪৭ শতাংশ পুড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এসময় পিছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের উপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা কয়েকজনকে উদ্ধার করি এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি।

অপর প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূইয়া জানান, মহাসড়কে থ্রিহুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি করে লোকাল যাত্রী যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পারি।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি জানান, আমরা এসে ৩জনকে জীবিত উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই এবং শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও ৩জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার ৪৭ শতাংশ, আবুল কাশেম এর ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিন এর ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহতাবস্থায় সজিব, মজনু ও দুলাল মিয়াকে সরাসরি কুমেকে আনার পর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জসিম উদ্দিন জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads