সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।কমিটি ওই প্রতিবেদনে ঘটনা বিশ্লেষণ করে লুপ লাইনে ক্রটিসহ দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক ফারুক আহাম্মাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা থেকে রংপুরগামী ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন পেরোনোর পর পাওয়ার কার ও ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
এ ঘটনা তদন্তে রেল মন্ত্রণালয়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী ও জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করা করে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পাঁচটি সুপারিশ সম্বলিত ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে লুপ লাইনে ক্রটির বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- ঘটনাস্থলে রেল লাইনের স্টক রেল ও টাং রেল দুটির লক থাকার কথা ছিলো, কিন্তু সেখানে লক ছিলো না।লাইন দুটির মাঝখানে গ্যাপ ছিল। যে কারণে ট্রেনের ইঞ্জিন সেখানে এসে লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার আরও কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলেও সেগুলো জানাতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, প্রতিবেদনের কপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) গোলাম রহমান, সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি আকতার হোসেন ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (পাকশী) সহকারী প্রকৌশলী শিপন আলী।