• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সড়ক দুর্ঘটনা : ২০১৯ সালে নিহত ৭৮৫৫, আহত ১৩,৩৩০

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা : ২০১৯ সালে নিহত ৭৮৫৫, আহত ১৩,৩৩০

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০২০

২০১৯ সালে পাঁচ হাজার পাঁচশ’ ৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৮৫৫ জন নিহত ও ১৩ হাজার ৩৩০ জন আহত হয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় প্রাণহানি বেড়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ শনিবার সকালে, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময়, সড়ক, রেল, নৌ মিলিয়ে সর্বমোট ৬ হাজার ২০১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহত এবং ১৪ হাজার ৩১৮ জন আহত হয়। ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় ৯৮৯ জন চালক, ৮৪৪ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৮০৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।  

এছাড়াও, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, রাস্তার ত্রুটিসহ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

উল্লেখিত সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৭ হাজার ৩৫৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১৮.৯৯ শতাংশ বাস, ২৯.৮১ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৫.২২ শতাংশ কার জিপ বা মাইক্রোবাস, ৯.৩৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২১.৪ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৮.০৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৩২ শতাংশ নছিমন করিমন মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর বা লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

এছাড়া মোট দুর্ঘটনায় গাড়িচাপা দেয়ার ঘটনা রয়েছে ৫৬.৩৫ শতাংশ, ১৮.৩৬ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.০৭ শতাংশ খাদে পড়ে, ৫.৯১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.৩৪ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ০.৯৭ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত যানবাহনের ৪.৩২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক, ১.৫২ শতাংশ নসিমন মাহিন্দ্রা বা লেগুনা, ১.১৩ শতাংশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান বা লরি, ০.০৭ শতাংশ বাসে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেলেও মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করা, তিন আরোহী পরিবহন নিষিদ্ধ করা, মোটরসাইকেল চলাচলে কঠোর নজরদারির কারণে দুর্ঘটনার হার ৪.২৬ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ২.৭১ শতাংশ কার জিপ বা মাইক্রোবাস, ০.২৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা বিগত বছরের চেয়ে কমেছে।

পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের তুলনায় বিদায়ী ২০১৯ সালে পথচারীকে গাড়িচাপা দেয়ার ঘটনা ১৪.৮২ শতাংশ, বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ১.৮৯ শতাংশ ও ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ০.০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও দেশের সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়ন, ব্ল্যাক স্পট নিরসন, রোড ডিভাইডার স্থাপন, সড়ক নিরাপত্তামূলক প্রচারণার কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১১.৩৬ শতাংশ কমেছে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী বছরে দুর্ঘটনাগুলোর ৩২.৩৮ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৭.৫১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২১.৩ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.৩৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৯৭ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।

বিগত বছরের চেয়ে বিদায়ী বছরে গতি বাড়ার কারণে জাতীয় মহাসড়কে ৪.৪৭ শতাংশ, রেলক্রসিংয়ে ০.১১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ২.১৫ শতাংশ, ফিডার রোডে ২.৪২ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে।

২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ১৫ জুন। ওই একদিনেই ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ১২১ জন আহত হয়। এছাড়া সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৪ জুলাই। ওইদিন ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়। একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জুন, ওইদিন ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬ জন নিহত ৯৩ জন আহত হয়। সবচেয়ে বেশি আহত হয় ১৫ আগস্ট, ২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ২২১ জন আহত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads