সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গ্যাসের চুলা থেকে শরীরে আগুন লেগে পুড়ে সেলিনা বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন করায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম ওই গ্রামের আলতাফ হোসেন নূরীর স্ত্রী।
সলঙ্গা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাবার পরে দেখি সকালেই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন জানায়, বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত রান্না করেন সেলিনা। রান্না শেষের দিকে গ্যাসের চুলো থেকে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে। তিনি সেটা টের না পেয়ে বিছানায় ঘুমোতে যান তিনি। ভোররাতে ওই আগুনে পুড়ে মারা যান সেলিনা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিহত সেলিনার দুই মেয়ে জামাই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার দিন এক জন ওই বাড়ীতেই ছিলেন। দুজন কর্মকর্তা থাকতেও আগুনে পুড়ে নিহতের মরদেহ স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন করাটা সন্দেহজনক। সেলিনা বেগম আগুনে পুড়ে মারা গেলেও একই বিছানায় থাকা তার মায়ের শরীরে কোন আঁচও লাগেনি বলেও জানান স্থানীয়রা। এলকাবাসীর দাবী নিহত ওই নারীর নামে জমিজমা রয়েছে। এ অবস্থায় তার এমন মৃত্যুটা সন্দেহজনক।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল হুদা বলেন, তদন্তের মাধ্যমে ওই নারীর মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা হবে। তদন্তে যদি কোন স্ক্যান্ডাল বেরিয়ে আসে তবে পুলিশ বাদী হয়েই মামলা করবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।