সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নে যমুনা নদীতে যাত্রী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হল। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৮ জন যাত্রী।
চৌহালীর ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ, থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস ও এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে যমুনা নদীর চৌহালী উপজেলার আজিমুদ্দিন মোড়, হাসপাতাল ঘাট, ঘুষুরিয়া ও স্থল ইউনিয়নের চালুহারা এলাকা নদীতে চারটি লাশ ভেসে উঠে। এলাকাবাসী লাশ গুলি উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংরাইল থানার গোবিনহারা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আলোক মিয়া (৩০)।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে ডুবুরি দলের কেউই গত দু’দিনে একটিও লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। ৯টি লাশই উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনদের দ্বারা। এমনকি, নৌকা ডুবির পর স্থানীয়রাই জীবিত ৫৭জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এনায়েতপুর থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চৌহালীর দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আরো তিনটি লাশ উদ্ধার হয়। এছাড়া মঙ্গলবার জীবিত অবস্থায় আরও ৫৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৮জন যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক ছিলেন।