• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
পটুয়াখালীতে স্পিডবোটডুবি: নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দুর্ঘটনা

পটুয়াখালীতে স্পিডবোটডুবি: নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার

  • রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০২০

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর আজ শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পর্যায়ক্রমে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। নিহতদের লাশ বর্তমানে কোড়ালীয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো.মহিবুল হক(৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান(৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন(৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো.হাসান মিয়া(৩০) ও মো.ইমরান(৩২)।

নিহত মহিব্বুল্লাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমানের হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো. ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২নং ও সমুদ্র বন্দরে ৩নং সতর্ক সংকেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দূর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পীডবোটটি কোড়ালীয়া থেকে পানপট্টির উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পীডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পরে যায়। এসময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় চালক সহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হয়। বাকি ৫ জন নিখোঁজ রয়ে যায়। পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। বাকি ৪ জনের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আলী আহম্মেদ জানান, নিহত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। যেহেতু পানিতে ডুবে মারাগেছে, সেহেতু আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানো কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads