• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শরীফের অর্গানিক ড্রাগন চাষ

ময়মনসিংহের ভালুকায় অর্গানিক ড্রাগন চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন ডা. শাহ মোহাম্মদ শরীফ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

শরীফের অর্গানিক ড্রাগন চাষ

  • ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৮

ময়মনসিংহের ভালুকায় অর্গানিক ড্রাগন চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন ডা. শাহ মোহাম্মদ শরীফ। উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে শখের বশে তিনি ৬০০ ড্রাগন গাছ রোপণ করেছেন। চলতি বছর সেই বাগানে মিষ্টি ড্রাগন ফল ধরেছে। এখন ক্যাকটাস জাতীয় লতানো গাছে গোলাপি রঙের ড্রাগন ফল শোভা পাচ্ছে। খাঁজকাটা এই ফলের অদ্ভুত চেহারার জন্যই নাকি এমন নামকরণ। মেক্সিকান এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এলাকার লোকজন দেখতে আসছেন তার ড্রাগন ফলের বাগান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভালুকার কাতলামারী গ্রামে একটি আবাদি জমিতে পাঁচ ফুট উচ্চতায় খুঁটি পেঁচিয়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের গাছ। গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা ফল। এ সময় জানা যায়, ড্রাগন গাছে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে ফল মিষ্টি হয় না। তাই ড্রাগন চাষে অর্গানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। অর্গানিক পদ্ধতি অনুসরণ করায় ফল মিষ্টি হয়েছে। আরো জানা যায়, একটি গাছ পরিপক্ব হতে দুই-তিন বছর সময় লাগে। পরিপক্ব একটি গাছে ২৫ থেকে ৩০টি ড্রাগন ফল ধরে। প্রতিবছর জুন থেকে নভেম্বর এই ছয় মাস ফল পাওয়া যায়। প্রতিকেজি স্বাভাবিক ফলের বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ টাকা, কিন্তু অর্গানিক পদ্ধতির এই ফলের দাম ৫০০-৬০০ টাকা। পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষে সাফল্য আসায় তিনি এই ফলের চাষ আরো বাড়াবেন বলেও জানা গেছে। এলাকার কৃষকদের ড্রাগন ফলের চাষে উৎসাহিত করতে ওই বাগানমালিক ডাক্তারি পেশায় জড়িত থাকার পরও সম্পূর্ণ শখের বশে ড্রাগন ফলের বাগানটি করেন।

এ ব্যাপারে বাগানের মালিক ডা. শরীফ বলেন, ২০১৬ সালে শখের বশে ৩০০ ও ২০১৭ সালে ৩০০ ড্রাগন গাছ রোপণ করি। এগুলো সম্পূর্ণ জৈব প্রক্রিয়ায় ও প্রাকৃতিক বালাইনাশক প্রয়োগ করে চাষ করেছি। এলাকার কৃষক যাতে অর্গানিক ড্রাগন চাষে উৎসাহিত হয় সেজন্য ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি ড্রাগন ফলের চাষ করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পাল জানান, ভালুকা ড্রাগন চাষের জন্য খুবই উপযোগী জায়গা। মেক্সিকান এই ফল বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষ উপযোগী। এটা খুব শখের ফসল; তাই দেশে বাণিজ্যিকভাবে ততটা চাষ হচ্ছে না। তবে এই ফসল কৃষিতে নতুন বিপ্লব আনবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads