• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
প্রায় ৩০ বছর আগে লটকনের চারা  রোপণ শুরু করি, এখনো করছি

নরসিংদীর  শিবপুরের লটকন চাষি ও রফতানীকারক ইমাম উদ্দিন সরকার

ছবি: বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

প্রায় ৩০ বছর আগে লটকনের চারা রোপণ শুরু করি, এখনো করছি

  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৮

ইমাম উদ্দিন সরকার

লটকন চাষি ও রফতানীকারক, সৃষ্টিগড়, শিবপুর, নরসিংদী  

 

জঙ্গলের ভেতরে নানা ধরনের গাছ থাকত। অনেক গাছের মধ্যে একটি গাছের নাম ছিল লটকন। যার কোনো কদরই ছিল না আমাদের এ অঞ্চলে। কিন্তু ব্যবসায়ের কাজে আমি যখন সিলেটে যাই, সেখানে একজনকে প্রথম লটকন বিক্রি করতে দেখি। আমি তখন ভাবলাম, আমাদের অঞ্চলে এই লটকনকেই জংলী ফল হিসেবে মনে করা হয়। জানতে পারলাম, সিলেট অঞ্চলের লোকজন লটকন ফল পছন্দ করে। সেই সঙ্গে বিদেশে রফতানিও করে। সেখান থেকেই আমার লটকন চাষের ওপর ঝোঁক চলে আসে। প্রায় ৩০ বছর আগে লটকনের চারা রোপণ শুরু করি, এখনো করছি। বর্তমানে আমার প্রায় তিনশ’র মতো লটকন গাছ আছে, যা থেকে এ বছর আমি প্রায় ৬০০ মণের মতো ফলন পাব বলে আশা করছি, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।

এরই মধ্যে আমি এক হাজার কেজির মতো লটকন বিদেশে রফতানি করেছি। এমনও পরিবার আছে, যারা শুধু লটকন চাষ করে তাদের সারা বছরের জীবিকা নির্বাহ করে। লটকন শুধু জীবিকা নির্বাহই করে না, এটা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লটকন একটি উপকারী ফল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads