• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

কৃষি অর্থনীতি

পতিত জমিতে পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে

  • ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ঘেরের পাড়ে ও পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষিদের পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এদের মধ্যে শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের মো. মমতাজ উদ্দিন শেখের ছেলে চাষি মো. মনিরুজ্জামান শেখ অন্যতম।

উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে মো. মনিরুজ্জামান শেখ জানতে পারেন বেলে-দোআঁঁশ মাটিতে ও উচু জমিতে পেঁপে চাষ করা সম্ভব এবং এতে রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ঘেরের পাড়ে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকা প্রায় দুই একর জমি বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে উৎসাহিত হন। এরপর তিনি দেড় একর জমিতে ১৫শ পেঁপে গাছ রোপণ করেন। তিনি মাদা পদ্ধতিতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় উন্নত জাতের পেঁপের চারা রোপণ করেন। তিনি জানান কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা রোপণের আগে এক ফুট দৈর্ঘ্য ও এক ফুট প্রস্থ গর্ত করে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও নিমপাতা দিয়ে এক সপ্তাহ গর্তগুলো ভরে রাখেন। এরপর দেড় মাস বয়সের পেঁপে চারা রোপণের তিন মাস পর গাছে ফুল ধরে এবং ধীরে ধীরে ফল ধরতে শুরু করে। চার মাস পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয় বলে তিনি জানান। পাকা ফল অধিক জনপ্রিয় হলেও বিপণন ব্যবস্থার প্রতিকূলতা থাকায় কাঁচা ফল সবজি হিসেবে বিক্রি করেন। তিনি মাত্র ৮০ হাজার টাকা পেঁপে চাষে ব্যয় করে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। একটি গাছ ৩ থেকে ৪ বছর ফল দেয়, তাই তিনি আশাবাদী কোনোরূপ বৈরী পরিস্থিতি তৈরি না হলে আরো ১৫ লাখের অধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডি. কৃষিবিদ দিপায়ন দাশ বলেন, তিনি পেঁপে চাষি মো. মনিরুজ্জামানকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমানে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে বাণিজ্যিকভিত্তিতে স্থানীয় জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত জানান, ফকিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা এখন পেঁপে চাষে আগ্রহ বেড়েছে। তিনি সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads