• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

কৃষি অর্থনীতি

লাভের মুখ দেখছেন ফুলবাড়ীর চাষিরা

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

আলুর দাম পড়ে গেলেও উৎপাদিত আলু বিক্রি করে আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আলুচাষিরা। ক্ষেত থেকে নতুন আলু তোলার আনন্দ আর আশানুরূপ লাভ পাওয়ায় আলুচাষিদের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। পৌর বাজারের আলুর খুচরা ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আবু বক্কর, সাইফুল ইসলাম ও তুহিন হোসেন বলেন, বর্তমানে খুচরা বাজারে রোমানা লাল আলু প্রতি কেজি সাড়ে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা প্রতি কেজি ১৩ থেকে ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ১৫ দিন আগে রোমানা লাল আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং সাদা প্রতি কেজি ২৮ থেকে ২৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি আলু চাষ মৌসুমে উপজেলার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। ২ হাজার ৫০ হেক্টরের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ১ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৫০ হেক্টর রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে কার্ডিনাল ৪৫০ হেক্টর, গ্রানুলা ৪৫০ হেক্টর, স্টেরিক ৪০০ হেক্টর ও রোমানা ৫০০ হেক্টর রয়েছে। উচ্চফলনশীল জাতের আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ১৮ থেকে ২০ টন এবং স্থানীয় জাতের সাড়ে ৮ থেকে ১০ টন।

উপজেলার গঙ্গপ্রসাদ গ্রামের আলুচাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল রোমানা জাতের আলু চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তবে উৎপাদিত আলু বিক্রি হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। এতে তার লাভ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ক্ষেতের উৎপাদিত আলু বিক্রি নিয়েও তাদের কোনো দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে না। কারণ পাইকাররাই সাড়ে ১৭ টাকা কেজি দরে ক্ষেত থেকে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাদের বাড়তি কোনো ব্যয় হচ্ছে না। আলু ওঠার পরপরই একই জমিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়বেন ভুট্টা চাষে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এটিএম হামীম আশরাফ বলেন, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কম জমিতে আলু চাষ হলেও প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না থাকাসহ অনুকূল পরিবেশের কারণে এ বছর আলুর উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। এতে করে চাষিরা আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছেন।

তবে আগাম যারা আলু চাষ করেছিলেন, তারা ইতোমধ্যে আলু তুলে সেই জমিতে এখন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কারণ আলুর ক্ষেতে ভুট্টা চাষ করলে সেখানে সার ও কীটনাশক ওষুধ লাগে অনেক কম এবং ফলন হয় অনেক ভালো।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads