• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ব্রোকলি চাষে সাফল্য

ব্রোকলি চাষি রান্টু কুমার চন্দ

ছবি : সংগৃহীত

কৃষি অর্থনীতি

ব্রোকলি চাষে সাফল্য

  • জিয়াউল হক জিয়া, কুলাউড়া
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রান্টু কুমার চন্দ একজন শৌখিন চাষি। টেলিভিশনে ব্রোকলি চাষের খবর দেখে বীজ সংগ্রহ করে ৮ শতক জমিতে চাষ করেন ব্রোকলি। বাম্পার ফলন দেখে নিজেও হতবাক। কৃষি বিভাগের কোনো রকম পরামর্শ ছাড়া এবং কীটনাশক কিংবা রাসায়নিক সার প্রয়োগ ছাড়াই ব্রোকলি চাষ করেন তিনি। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, আগামীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই ব্রোকলি চাষ হবে কুলাউড়ায়।

সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুরে গেলে ব্রোকলি চাষি রান্টু কুমার চন্দ জানান, একটি টেলিভিশনে ব্রোকলি চাষ ও এর পুষ্টিগুণের কথা শুনেই আগ্রহ জাগে ব্রোকলি চাষে। কুলাউড়া শহরের একটি বীজঘর থেকে ২১০ টাকায় ২৫০ গ্রামের এক প্যাকেট বীজ কিনেন। সেই বীজ থেকে গজানো চারা ৮ শতক জমিতে রোপণ করেন। এখন পর্যন্ত সেই লাগানো চারা থেকে সাতশ ব্রোকলি গাছ বড় হয়ে তাতে ফুল এসেছে।

রান্টু কুমার চন্দ জানান, ব্রোকলি পর্যায়ক্রমে কয়েকবার সংগ্রহ করা যায় বলে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এর দামও ফুলকপির চেয়ে বেশি। প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সাতশ গাছ থেকে তিনি সর্বনিম্ন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করবেন বলে আশাবাদী। এদিকে রান্টু কুমার চন্দ ছাড়াও সিএনআরএসের সূচনা প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান জানান, সূচনা প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের সাজনা বেগম, বরমচাল ইউনিয়নের নন্দিতা চক্রবর্তী, আফিয়া বেগম, ও রিমা রানী দাস ব্রোকলির পরীক্ষামূলক (প্রদর্শনী) চাষ করেন। ব্রোকলি চাষিরা সাফল্যও পেয়েছেন। এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার জানান, সূচনা প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রোকলির পরীক্ষামূলক চাষ চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads