• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চায়না বেগমের দিনবদলের নার্সারি

চায়না বেগমের নার্সারি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

চায়না বেগমের দিনবদলের নার্সারি

  • মো. ইউনুস আলী, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একসময় তার দিনই চলতো না। এখন চায়না বেগমের জীবনযাপন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়। তার বাড়ি মধুপুর উপজেলার রানিয়াদ পশ্চিম পাড়া গ্রামে। স্বামী-স্ত্রী, এক মেয়ে আর শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যেই দিন কাটছে তার। চায়না বেগম জানান, নার্সারি করে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে তাদের পাঁচ সদস্যের পরিবারে। কয়েক বছর আগেও স্বামী আনোয়ার হোসেন অন্যের নার্সারিতে দিনমজুরের কাজ  করত। তাতে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার চলতো না। অভাব-অনটন লেগেই থাকত। সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টের ব্যাপার ছিল। আনোয়ার হোসেনের পক্ষে  সংসারের ব্যয়ভারসহ একমাত্র মেয়েকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নে বড় বাধা ছিল আর্থিক দীনতা। কীভাবে সংসারে সচ্ছলতা আসবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল আনোয়ার-চায়না দম্পতির। তবে স্বামী-স্ত্রী মিলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা ও চেষ্টা ছিল তাদের। চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও অর্থের অভাবে কোনো কিছু করতে না পারার সময়টায় বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস), মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম মধুপুর শাখার ক্রেডিট অফিসার আজাদুল ইসলাম তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। ২০১৭ সালের ওই সময় বিজিএসের সহায়তায় চায়না বেগম হিমছড়ি সমিতির সদস্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে। শুরু করেন নিজের মতো কিছু করার। স্বল্প পরিসরে নিজের ভিটা জমিতে নার্সারি বাগান শুরু করেন। এই নার্সারি থেকেই তার সফলতা শুরু। বছর শেষে মোটামুটি ভালো আয় হয় নার্সারি থেকে। তাতে চায়না বেগম খুব খুশি। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় দফায় এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে নার্সারি বাগান আরো সম্প্রসারণ করেন। বর্তমানে ওই দম্পতি ১ দশমিক ৭ একর জমিতে নার্সারি করছেন। এখন তারা ভালোভাবে সংসার চালিয়ে তাদের মেয়েকে মধুপুরের প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া করাচ্ছেন। সাহস আর ইচ্ছাশক্তির বলে দারিদ্র্যকে জয় করে সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। চায়না বেগম আরো জানান, অভাবের তাড়নায় তাদের ভালোমতো দুই বেলা খাবার জোটেনি। খাওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টের ছিল। আর্থিক ঋণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads