• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
শিম চাষে ওসমানের ভাগ্যবদল

শিম চাষে ওসমানের ভাগ্যবদল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

শিম চাষে ওসমানের ভাগ্যবদল

  • নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শিম চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে শিক্ষিত বেকার যুবক ওসমান গণির। তিনি নাগেশ্বরী পৌরসভার কুটি পায়ড়াডাঙ্গা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে। নাগেশ্বরী কলেজ থেকে বিএসএস পাস করার পর বেকারত্বের জাতাকলে পড়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অভাবের সংসার। তেমন আয়-রোজগার না থাকায় অতিকষ্টে জীবনযাপন করতে হয়েছে। টাকার কাছে চাকরির বাজার মন্দা হওয়ায় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এতদূর পড়াশোনা করে অন্যের জমিতে কাজ করবেন সেটাও অশোভনীয় মনে হয়েছিল তার কাছে। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে নেমে পড়েন কৃষিকাজেই। বাড়ির পাশেই এক বিঘা জমিতে নিজ উদ্যোগে শুরু করেন লাউ, ঝিঙ্গা, করলাসহ অন্যান্য সবজি চাষ। কিন্তু তাতেও লাভবান না হয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের শরণাপন্ন হলে তারা ওসমান গণিকে শিম চাষের পরামর্শ দেন। কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে শুরু করেন শিম চাষ। কৃষি অফিস থেকে ইপশা-২ জাতের শিমের বীজ এবং সারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে শুরু করেন শিম চাষ। সাফল্যও হাতের মুঠোয় ধরা দেয় তখন।

ওসমান জানান, ধানের দাম কম হওয়ায় ধান আবাদ না করে তিনি শিম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কখনো কখনো নিজেই বাজারে নিয়ে খুচরা বিক্রি করেন আবার কখনো পাইকাররা এসে নিয়ে যান। এতে উৎপাদন খরচের তুলনায় তার অনেক লাভ হচ্ছে। শিম চাষ করে তিনি এখন খুশি। তিনি আরো জানান, এক বিঘা জমিতে তার হালচাষ, নিড়ানি, মাচা তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য উৎপাদন খরচ হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা।

উপজেলার রামখানা, খামার হাসনাবাদ, বদিজমাপুর, বল্লভেরখাস, বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ি, রায়গঞ্জসহ অনেক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এবার শিমের ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শামসুজ্জামান বলেন, এখন সবাই যে কোনো সবজি চাষে ঝুঁকছে। এজন্য আমরা সব সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads