• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শেকৃবিতে নতুন সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট চাষ

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো সফলভাবে চাষ হয় ব্রাসেলস স্প্রাউট  

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

শেকৃবিতে নতুন সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট চাষ

  • শেকৃবি সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৯

ব্রাসেলস স্প্রাউট কপি জাতীয় সবজি। এটি দেখতে অনেকটা বাঁধাকপির মতো। অনেকে একে ‘শিশু বাঁধাকপি’ বলে থাকেন। একটি ডাঁটায় অনেকগুলো স্প্রাউট নিচ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত ধরে। ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজিগুলোর মধ্যে অন্যান্য কপিজাতীয় সবজির চেয়ে ব্রাসেলস স্প্রাউটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ সর্বাধিক।

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি আবহাওয়ায় প্রথমবারের মতো সফলভাবে চাষ হচ্ছে নতুন সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট। এ গবেষণায় সফল হয়েছেন শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনাত সোলায়মানের তত্ত্বাবধানে গবেষণারত শিক্ষার্থী কাজী নওরিন অন্তরা। গত বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন ইংল্যান্ড থেকে বীজ এনে দিলে শেকৃবি গবেষণা মাঠে এ সবজির চাষ শুরু করেন নওরিন অন্তরা।

চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে নওরিন বলেন, ব্রাসেলস স্প্রাউটের চাষাবাদ পদ্ধতি অনেকটা বাঁধাকপির মতো। বাঁধাকপির মতো বীজ থেকে চারা হয়। পরে এ চারা মূল জমিতে লাগাতে হয়। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে দুই মাস পর থেকে স্প্রাউট ধরা শুরু করে। তবে দ্রুত ফলন পেতে চাইলে দুই মাস পর গাছের মাথা ভেঙে দিতে হবে। গাছের উচ্চতা জাতভেদে ২-৪ ফুট বা তারও বেশি হতে পারে। ফসলের জীবনকাল জাতভেদে ৯০-১৫০ দিন। সাধারণত দু্ই মাস পর থেকে গাছে স্প্রাউট আসা শুরু হয়। একটি গাছে ৪০-৬০টি স্প্রাউট হয়। গাছে যতগুলো পাতা থাকবে ততগুলো স্প্রাউট হবে। স্প্রাউট আসার ১৫-২০ দিন পর সংগ্রহ করা যায়।

পুষ্টি উপাদানের দিক থেকে ব্রাসেলস স্প্রাউটে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ওমেগা-৩, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও খনিজ পদার্থ- যা কোলন ক্যানসার, রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, হাড়ের গঠন শক্তিশালীকরণ ও লোহিত রক্তকণিকা গঠন করে।

গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ড. হাসনাত সোলায়মান বলেন, ‘ব্রাসেলস স্প্রাউটের বাণিজ্যিক চাষের আগে আরো কিছু গবেষণা করতে হবে। যেমন- চারা লাগানোর সময়কাল নির্বাচন, তাপ সহনশীল জাত নির্বাচন, স্বল্প জীবনকালের জাত উদ্ভাবন, টপিংয়ের সময়কাল নির্ধারণ, ফলন বাড়াতে বিভিন্ন সারের ব্যবহার ও মাত্রা নির্ধারণ, হরমোন প্রয়োগে আগাম ফলন সম্ভাব্যতা যাচাই, রোগবালাই নিয়ে গবেষণা, বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সর্বোপরি উৎপাদন খরচের সঙ্গে লাভের সম্ভাব্যতা যাচাই। এসব সফলভাবে সম্পন্ন হলে এটি বাণিজ্যিক চাষে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads