• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় ধান মাড়াই মেশিনের কদর বাড়ছে

ফাইল ছবি

কৃষি অর্থনীতি

আখাউড়ায় ধান মাড়াই মেশিনের কদর বাড়ছে

  • কাজী মফিকুল ইসলাম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত। এদিকে শ্রম, সময় ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় হওয়ায় চলতি ইরি-বোরো ধান মাড়াই কাজে আধুনিক পদ্ধতির মেশিন ব্যবহার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্র ধান মাড়াইয়ের আধুনিক মেশিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে অতি সহজে ধান মাড়াই করে শুকিয়ে গোলায় তুলছেন। ইরি-বোরো ধান কাটা পুরোদমে শুরু হওয়ায় ধান মাড়াই মেশিন মালিকদের যেন দম ফেলার সময় নেই। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধান মাড়াই করছেন। সরেজমিনে দেখা যায় পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, খরমপুর, দুর্গাপুরসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা ধান মাড়াই আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে ধান মাড়াই করছেন। বর্তমানে এলাকায় ধান মাড়াই মেশিনের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় কৃষকরা ইরি-বোরো ও রোপা-আমন পাকা ধান জমি থেকে কেটে এনে বাড়িতে তোলা হতো। তারপর ধান মাড়াই করতে গরু দিয়ে ধান মাড়াই করা হতো। আবার কেউ কেউ পিড়ি, ড্রাম বা গাছের গুলে পিটিয়ে ধান মাড়াই করতো। এসব ছাড়া ধান মাড়াই কল্পনা করা যেত না। এরপর ধান মাড়াই কাজে এলো পা দিয়ে ব্যবহূত মেশিন। দুজনে পা দিয়ে চাপাতো আর কয়েকজনে ধান আনার কাজে সাহায্য করতো।

পরবর্তীকালে কৃষকদের কাছে এলো শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে ধান মাড়াই। সময়ের পরিবর্তে দিন দিন মানুষ আধুনিকতার ছোয়ার মাধ্যমে যন্ত্র চালিতের দিকে এগিয়ে যায়। এখন আর গরু, পিড়ি, ড্রাম বা গাছের গুল পা চালিত মেশিন আর চোখে পড়ছে না। এখন কৃষকরা ধান মাড়াই কাজে ব্যবহার করছেন হাইভেস্টার অটো মেশিন, যা বোমা মেশিন নামে এলাকায় পরিচিত। হাইভেস্টার অটো মেশিনে ৩-৪ জন লোক কাজ করে। দুজন মেশিনে আর দুজন ধানের আঁটি মাড়াই মেশিনে দিয়ে থাকে। উপর দিয়ে অনেক দূরে পড়ে যায় খড়, আর নিচে ধান মাড়াই হয়ে ফ্যানে বাতাস দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে ধান বস্তায় তোলা হয়। 

সময় শ্রম ও অর্থনৈতিক সাশ্রয়ে গ্রামগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র স্থানীয় কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতি ধান মাড়াই মেশিনের মাধ্যমে ধান মাড়াই করছেন।

প্রতি বিঘা জমি ধান মাড়াই করতে মেশিন মালিককে দিতে হচ্ছে ৭শ টাকা। আধুনিক মেশিনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগ থেকেই মেশিন মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় বলে স্থানীয় কৃষকরা জানায়।

কৃষক মো. আলম খাঁ বলেন, হাইভেস্টার অটো মেশিন ছাড়া অন্য মেশিন দিয়ে ১ বিঘা ধান মাড়াই করতে ২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তাছাড়া ধান জমানো, খড় আবর্জনা পরিষ্কার করতে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। কিন্তু আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে প্রতি বিঘা জমি ১৫-২০ মিনিটেই ধান মাড়াই কাজ শেষ হয়। এতে নিজেদের বা কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads