• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
উখিয়ায় আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

বোরহানউদ্দিনে মঙ্গলবার সকালে বর্ণালী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : বাংলাদেশে খবর

কৃষি অর্থনীতি

উৎপাদন হ্রাস হওয়ার শঙ্কা

উখিয়ায় আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

  • উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

রোহিঙ্গা অধুষিত এলাকা উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত ভাড়া বাসার তৈরি করার কারনে লক্ষমাত্রা উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

দীর্ঘ দিন খরা ও প্রচণ্ড তাপমাত্রায় জনজীবন বিপর্যস্থ হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ার কারনে কৃষকেরা আমন চাষ নিয়ে হতাশায় ভুগছিল। সাম্প্রতিক সময়ে টানা ভারি বর্ষনে কৃষি জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে। এমনকি অধিকাংশ জমিতে জলাবদ্ধতা হওয়া সত্বেও কৃষকেরা সেখানে আমন চারা রোপন করে যাচ্ছে। তারা বলছে সরকার দফায় দফায় বোরো ধান ক্রয় করার কারনে কৃষকেরা খাদ্য খুদামে ধান ক্রয় করে লাভবান হয়েছে। তাই আমন চাষাবাদের প্রতি শত শত প্রতিকূলতা পেড়িয়ে হলেও আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উখিয়ার ৫টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এসব জমিতে চারা রোপনের জন্য প্রায় ৫শ হেক্টর জমিতে বীজতলা রোপন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে টানা বর্ষনে কিছু কিছু জমি জলাবদ্ধতা হলেও উচু জমিগুলোতে কৃষকেরা ইতি মধ্যেই আমন চাষ শেষ করেছে। রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া গ্রামে হাজী আব্দুর রহমান, নুরুল ইসলাম ও আব্দুর রহিমসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, যেভাবে খরা চলছিল তাতে তারা আমন চাষের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল, আল্লাহর রহমতে হঠাৎ করে টানা বর্ষনে পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন চাষাবাদে আর কোন বাধা নেই।

তবে পালংখালী ইউনিয়নের তাজনিমারখোলা গ্রামের কৃষক ছলামত উল্যাহ, ইসলাম মিয়া ও রফিক মিয়াসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা শুষ্ক মৌসুমে চিংড়ি চাষ করে থাকেন। বর্ষায় ঐ সব জমিতে আমন চাষ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমানে একদিকে রোহিঙ্গাদের জমি দখল, যত্রতত্র স্থাপনা ও ভাড়া বাসা তৈরি করার কারনে পালংখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ জমি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব জমিতে পানি না শুকানো পর্যন্ত আমন চারা রোপন যাচ্ছে না।

একাধিক কৃষক জানালেন, জমি থেকে পানি সরে না যাওয়ার কারনে বেশ কিছু বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের আমন চাষের কোন পরিবেশ নেই। তথাপিও পেটের দায়ে অনেকেই কষ্ট করে আমন চাষাবাদ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, পালংখালী ও রাজাপালং ইউনিয়নে প্রায় ১শত একরের মত জমিতে অপরিকল্পিত ভাড়া বাসা তৈরি করা হয়েছে। যে কারনে চলতি মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রা উৎপাদন নাও হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads