• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
পাটের দামে খুশি কৃষক

ছবি : সংগৃহীত

কৃষি অর্থনীতি

পাটের দামে খুশি কৃষক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৯

পাট কাটা শুরু হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই। পানিতে জাগ দেওয়ার পর আঁশ ছড়ানোর কাজও শুরু হয়েছে। রোদে শুকানোর পর কোনো কোনো কৃষক বিক্রিও করছেন আড়তে নিয়ে। মৌসুমের শুরুতেই পাটের বেশ ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। এতে হাসি ফুটছে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকের মুখে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর এই অঞ্চলে পাটের আবাদ হয়েছিল ১৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এবার একই পরিমাণ জমিকেই পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর জমিতে। দুই সপ্তাহ ধরে পাট কাটা শুরু হয়েছে। জাগ দেওয়ার পর পাটের আঁশ বিক্রিও শুরু হয়েছে কোথাও কোথাও।

জেলার পবা উপজেলার নতুন ফুদকিপাড়া গ্রামের পাটচাষি আবু আসলাম জানান, এবার চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবাদও ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহে দুই বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দিয়েছি। এবার বৃষ্টি হওয়ায় খালে-বিলে পানিও আছে। পানি থাকায় আঁশের মান ভালো হবে বলেই তিনি আশা করছেন।  

দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের পাটচাষি কালাম শেখ এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ফলন পেয়েছেন নয় মণ। প্রতি মণ বিক্রি করেছেন এক হাজার ৬০০ টাকা দরে। পাট চাষে খরচ হয়েছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা। পাট বিক্রি করে লাভ হয়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। এর সঙ্গে পেয়েছেন কিছু পাটখড়ি। সেগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবেন।

গোদাগাড়ী উপজেলার ফুলতলা গ্রামের পাটের আড়তদার আবুল হোসেন জানান, পুরাতন পাট কিনছেন দুই হাজার টাকা মণ দরে। নতুনের দাম দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। নতুন পাট খুব কমই আসছে। দুই সপ্তাহ পর প্রচুর পরিমাণে নতুন পাট আড়তে আসবে। তবে দাম খুব একটা কমবে না বলেই জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক বলেন, পাট চাষে তেমন একটা খরচ নেই। বীজ কেনা এবং মাঝে দুটি নিড়ানি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হয় সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা। আর পাটের গড় উৎপাদন সাড়ে আট মণ। দাম ভালো থাকলে চাষিরা লাভবান হন। সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহার হচ্ছে। তাই দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads