• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে চার হাজার পশু

কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত পশুকে খাওয়াচ্ছেন এক খামারি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

শ্রীপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে চার হাজার পশু

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির ঈদের আর চার দিন বাকি রয়েছে। এ দিকে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে প্রান্তিক খামারিরা পশু মোটাতাজাকরণ করেছে। এরি মধ্যে বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছে। সুস্থ্য সবল পশু (গরু/ মহিষ) কিনতে খুবই সর্তক ক্রেতারা।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়িরা অবৈধ খাদ্য আর ক্ষতিকর ওষুধ দিয়ে গরু মহিষ মোটাতাজাকরণ করে থাকে। যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর । এ দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘাস খড় ভুষি দিয়ে কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়েছে । প্রাণিসম্পদ অফিসের জোর তদারকিতে খামারিরা সতেচন হয়েছে। 

জানাযায়, শ্রীপুর উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য এগার হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এক জরিপে এ চাহিদা বেরিয়ে আসে। তবে চাহিদার অর্ধেক কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় খামারে। এ অঞ্চলটি শিল্প কারখানা সমৃদ্ধ হওয়াই কম পশুপালন করে মানুষ এমন দাবি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার। আগামীতে মোটাতাজারণের এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তাদের আশা। তবে তাঁদের দাবি মোটাতাজাকরণের সকল পশুই প্রাকৃতিক খাবার ঘাস,খড়,ভুষি ব্যবহার করে এ সব পশু পালন করা হয়েছে।

ভিটিপাড়া গ্রামের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত ঘাস,ভুষি, খড় দিলেই গরু মহিষের স্বাস্থ্য ভাল হয়। অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর ওষুধ গরু মুহিষের স্বাস্থ্য ঝঁকি বাড়িয়ে দেয়। অনেকে অসৎ পথে গরু মোটাতাজা করতে গিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থই হয়েছে বেশি। তিনি বলেন পশু হাসপাতাল থেকে নিয়মিত পশু পালনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আমাদের।

শ্রীপুর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সামিউল বাছির জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেই ছোট বড় খামার গড়ে তোলেছে প্রান্তিক খামারিরা। কোরবানি ঈদকে নামনে রেখে প্রতি বছরই এ সব পশু পালন করে তারা। তিনি আরো জানান, নিয়মিত মনিটরিং করার কারনে খামারিরা স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পশু পালন করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় তাদের সতেচন করা হয়েছে। যেন কোনো প্রকার ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ,পশুর অখাদ্য তুলা ব্যবহার না করে পশুতে। এরি মধ্যে পশুর খামারে অবৈধ তুলা বিক্রির দায়ে দুইজন ব্যবসায়িকে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসব ওষুধ ও অখাদ্য ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করা হয়েছে নিয়মিত।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম উকিল উদ্দিন বলেন, উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় এগার হাজার। একটি মাঠ জরিপে আমাদের কাছে এ তথ্য রয়েছে। তবে চাহিদার অর্ধেকের কম পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এ অঞ্চলে। শিল্প অঞ্চল হওয়ায় মানুষ পশু পালনে আগ্রহী কম। এ বছর উপজেলায় সাধারন খামারিদের কাছে সাড়ে চার হাজার পশু মোটাতাজাকরণ হয়েছে ঈদকে ঘিরে। তিনি আরো বলেন সুস্থ্য সবল পশু চেনার কিছু উপায় খামারি ও ক্রেতাদের বলা হচ্ছে। প্রতিটি হাটেই আমাদের টিম কাজ করছে। তবে পশুর ভাল দাম পাওয়ায় আস্তে আস্তে খামারির সংখ্যা বাড়ছে। আগামীতে চাহিদার আরো অনেকটুকই আমরা পুরণ করতে পারব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads