• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
পাঁচবিবিতে অটোরাইস মিলের বর্জ্যে ফসলি জমির ক্ষতি

২টি অটো রাইস মিলের গরম পানি, ছাই ও বর্জ্য পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাশের কৃষি জমিতে ছেড়ে দেওয়ায় আবাদ করতে পারছে না কৃষিজমি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

পাঁচবিবিতে অটোরাইস মিলের বর্জ্যে ফসলি জমির ক্ষতি

  • পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২০

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সদরের ২টি অটো রাইস মিলের গরম পানি, ছাই ও বর্জ্যে ৫০ একরের অধিক ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার গোপালপুর এলাকায় অবস্থিত কারখানা দুটির দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী। পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই দায় সারছে। প্রায় ৭ বছর ধরে আইন অমান্য করে কারখানা চালালেও পরিবেশ সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার গোপালপুর গ্রামে মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজে যাওয়ার সড়কের উত্তর পাশে মেসার্স এনবি অটো রাইসমিল ও মেসার্স এনএস অটো রাইসমিল পাশাপাশি অবস্থিত। কারখানা দুটির পশ্চিম পাশে সরকারি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। সড়কের উত্তর ও পূর্ব পাশে ফসলি জমি রয়েছে। আর দক্ষিণ পাশে আবাসিক এলাকা। এ ছাড়া আধা কিলোমিটার দূরে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি।

কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গরম পানি নিজেদের পুকুরে না রেখে সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাশের কৃষি জমিতে ছেড়ে দিচ্ছে মালিকরা। মিলের এই রাসায়নিকযুক্ত গরম পানি আবাদি জমিতে যাওয়ার পর জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। ফলে ওই সব জমিতে ধান হচ্ছে না।বর্ষা মৌসুমে এই রাসায়নিকযুক্ত গরম পানি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকার দেড় শতাধিক জমিতে আমন ধান আবাদ করতে পারছে না কৃষকরা।এমনকি এই পানির কারণে বর্ষা মৌসুমেও এলাকায় কোনো মাছ পাওয়া যায় না।জমির উর্বরতা শক্তি না থাকায় বোরো মৌসুমেও ধানের ফলন হয় না।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের জয়পুরহাট জেলা পরিদর্শক মাসুদ রানা জানান, আইন অমান্য করে অটো রাইসমিল চালানোয় পাঁচবিবির দুটি অটো রাইসমিল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের সময় চেয়েছে। তাদের চাহিদা মতো সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনবি অটো রাইসমিলের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম মন্ডল ও এনএস অটো রাইসমিলের স্বত্বাধিকারী নবীবুল ইসলাম উভয়েই পরিবেশ আইন না মেনে কারখানা চালানোর কথা স্বীকার করে জানান, তারা দ্রুত পরিবেশ সম্মত মিল চালুর ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads