• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

আঁটিবিহীন বরই চাষে সাফল্য

  • মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট
  • প্রকাশিত ০১ মার্চ ২০২১

বলসুন্দরী ও সিডলেস (আঁটিবিহীন) কাশ্মীরি আপেলকুল চাষে ভাগ্য বদলিয়েছেন জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামান। সুস্বাদু, মিষ্টি আর লাল টুকটুকে রঙের এসব বরই চাষে তিনি এলাকার মডেল হয়েছেন। অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক তার এ সাফল্যের পথে হাঁটছেন।

উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আ. হাকিমের ছেলে রাশেদুজ্জামান পড়ালেখার পাঠ শেষে কয়েক বছর চাকরির পেছনে ছুটেছেন। চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে সমাজে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে বরই চাষ শুরু করেন। মহিপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজের পূর্বপাশে আট বিঘা পতিত জমি লিজ নিয়ে প্রথমে নার্সারি করেন। নিজেই নার্সারিতেই বরই গাছের চারা তৈরি করে তা দিয়েই বাগান শুরু করেন। এক বছর বয়সেই চারাগাছ প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা আকার ধারণ করে এবং বরইয়ে বাগান ভরে যায়। বাগান করতে এ পর্যন্ত দুই লাখ টাকার অধিক খরচ হয়েছে বলে জানান রাশেদ। এ বছরই বরই পাঁচ লাখ টাকার অধিক হতে পারে বলে তার ধারণা।

রাশেদের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে বলসুন্দরী ও সিডলেস বরইয়ে ছেয়ে আছে। ফলের ভারে গাছ ও ডালগুলো মাটির সঙ্গে নুয়ে আছে। ভারসাম্য রক্ষার্থে বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে। পাহারা দেওয়ার জন্য বাগানের তিন পাশে উঁচু করে টোল টাঙানো হয়েছে। দিন-রাত পালাক্রমে পাহারা দেওয়া হচ্ছে বাগানের বরই। বাগান থেকে পাইকারি ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও বাজারে এর খুচরা মূল্য ৭০-৮০ টাকা।

মালিক রাশেদ বলেন, বাগান করতে প্রথমে অনেক খরচ হলেও পরে আর তেমন খরচ হবে না। পরের বছর থেকে এই বাগান থেকে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় অনেক বরই বাগান রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সর্বক্ষণ প্রতিটি বাগান মালিককে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads