• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

বিশ্লেষণ

যে চাবির জন্যে ডুবেছে টাইটানিক !

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ মার্চ ২০১৮

লোকটির নাম ডেভিড ব্লেয়ার। পদবী সেকেন্ড অফিসার। তার কাছে একটি লকারের চাবি ছিল। আর ওই চাবির কারনেই টাইটানিক জাহাজ ডুবেছিল বলে দাবী করা হয়। এ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্যা সান। মুরে শ’ বলেন,“ ব্লেয়ার তিন মাস বেলফাস্টে কাটান যখন সেখানে টাইটানিকের নির্মান কাজ চলছিল। তারই ওই জাহাজ নিয়ে প্রথম যাত্রায় নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমানোর কথা ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১৯১৩ সালের ৩ এপ্রিল তিনি টাইটানিক নিয়ে সাউদাম্পটনে পাড়ি জমান। কারণ, ১০ এপ্রিল সেখান থেকেই নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবার কথা। কিন্তু শেষ মূহুর্তে তাকে টাইটানিকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন দ্যা হোয়াইট স্টার লাইন ওনারস কর্তৃপক্ষ। এতে ব্লেয়ার বেশ হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি টাইটানিক ছেড়ে আসার সময় মনের ভুলে সাথে করে নিয়ে যান একটি লকারের চাবি। যেই লকারে ‘ক্রো নেস্ট বাইনোকুলার’ ছিল। টাইটানিকের সমস্ত যন্ত্রপাতির দায়িত্ব অবশ্যই ব্লেয়ারের ছিল। যাবার সময় তিনি তা হস্তান্তর করেও যান নি।”

‘ক্রো নেস্ট বাইনোকুলার’ দিয়ে রাতের বেলা বহু দূরের বস্তুও পরিস্কারভাবে দেখা যায়। ব্লেয়ারের অনুপস্থিতিতে ওই লকার খুলতে না পারায় টাইটানিকের ক্রুরা ওই বাইনোকুলার হাতে পায় নি। তাই যখন অল্প দুরত্বে বরফের পাটাতন দৃশ্যমান হয় তখন কিছুই করার ছিল না। ঐতিহাসিকদের মতে, ওই বাইনোকুলার বা দূরবীন ক্রুদের হাতে থাকলে ১,৫২২ জন মানুষের প্রাণ বেঁচে যেতো। একই কথা বলেছেন ওই জাহাজের বেঁচে যাওয়া ক্রু ফ্রেড ফ্লিট। সামরিক বিশেষজ্ঞ এড্রিয়ান স্টিভেনসন বলেন, “ব্লেয়ার ভুলবশতঃ ওই লকারের চাবি হস্তান্তর করতে ভুলে হিয়েছিলেন। তাই তিনি পরোক্ষভাবে ওই দূর্ঘটনার জন্য দায়ী।”

ব্লেয়ার ১৯৫৫ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ওই চাবি নিলামে তোলা হলে তা ৯০ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে একটি চাইনিজ জুয়েলারি কোম্পানী কিনে নেয়। টাইটানিক নিউ ইয়র্কের পথে যাত্রা শুরুর পর পাঁচ দিনের মাথায় দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে আটলান্টিকে ডুবে যায়।


সূত্র : দ্যা সান

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads