• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
নেক ব্লাস্ট রোগে ধানে চিটা

নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধান

সংগৃহীত ছবি

বিশ্লেষণ

নেক ব্লাস্ট রোগে ধানে চিটা

  • মো. দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিলা)
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৯

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমের ফসলি জমিতে ব্যাপক আকারে নেক ব্লাস্ট রোগের (পঁচা রোগ) আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধান পাকার আগ মুহূর্তে নেক ব্লাস্ট রোগে ধানক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, নেক ব্লাস্ট রোগ থেকে ধানক্ষেত রক্ষায় কৃষি অফিসে বার বার ধরণা দিয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের চেনেন না তারা। কৃষকরা ধানক্ষেতের বিভিন্ন রোগের সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন স্থানীয় সার ও কীটনাশক দোকানের মালিকদের কাছ থেকে।

উপজেলার মৌকরা ইউপির গোমকোট, রায়কোট ইউপির পিপড্ডা, বেকামলিয়া, বাংগড্ডা ইউপির পরিকোট, ঢালুয়া ইউপির শিহর, মঘুয়া, জোড্ডা ইউপির জোড্ডা, আদ্রা ও হেসাখাল সহ বেশ কয়েকটি এলাকার ফসলি মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সব এলাকাতেই নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার সবচেয়ে বড় বিল ঢালুয়া ইউনিয়নের বেরলা চর এলাকার ধানক্ষেতেও এ রোগ দেখা দিয়েছে। বিআর-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগ বেশি দেখা দেয়। এ ব্যাপারে মৌকরা ইউপির উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল হক জানান, ‘নেক ব্লাস্ট রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা দুই মাস ধরে কৃষক পর্যায়ে সভা করছি।

এ ছত্রাক থেকে রক্ষা পেতে নাটিভো, ফিলিয়া, বাস্টিন, টাটাভো জাতীয় ছত্রাকনাশক ধানক্ষেতে ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফসলি মাঠে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো ইউনিয়নে তিনি একজন অফিসার। যার ফলে ইউনিয়নের এক এলাকায় গেলে অন্য এলাকায় যাওয়া সম্ভব হয় না। কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মো. আসিফ ইকবাল বলেন, বাতাসের সঙ্গেও ব্লাস্ট রোগ ছড়াতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads