• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অতিথি পাখির অভয়ারন্য বগুড়ার রামনগর

বগুড়ার শেরপুরের রামনগর গ্রামে প্রায় ১২টি গাছে এভাবেই বাসা বেঁধেছে পাখিরা।

প্রতিনিদির তোলা ছবি

জীব ও পরিবেশ

অতিথি পাখির অভয়ারন্য বগুড়ার রামনগর

  • আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০১৮

প্রাকৃতিক বৈরীতার প্রভাবে পৃথিবী থেকে আজ অনেক কিছুই বিলীন হতে বসেছে। হারিয়ে গেছে চেনাজানা অনেক প্রানীও। প্রাকৃতিক বৈরীতার প্রভাবে মানুষ হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়, তেমনি পশুপাখিও তাদের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তেমনই পাখিদের এক অভয়ারন্যের দেখা মেলে বগুড়া শেরপুরের গাড়ীদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। এটা যেন বিনোদনের খোরাক হয়ে পড়েছে বিনোদন পিপাসু মানুষদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ১২ টি উঁচু জাতের গাছে প্রায় ২ হাজার সামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছে। সেখানেই তারা বাচ্চা দিচ্ছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত সারা গ্রাম। পাখিদের সেই কোলাহল দেখতে ভোর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ওই গ্রামে ভীড় করে হাজার হাজার বিনোদন পিপাসু লোকজন।

বিভন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ পাওয়া খুব কঠিন। এমন পরিবেশের কথা শুনতে পেরে আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রায় দিনই এখানে আসি।

এ ব্যপারে গাড়িদহ ইউপি সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান জানান, এখানে কোন পাখিদের যেন কেউ বিরক্ত না করে দিকে আমি সব খেয়াল রাখি। এবং গ্রামের সবাইকে সজাগ থাকতে বলি।

ইউপি চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান জানান, প্রায় ৮ বছর হলো এই পাখিগুলো গরমের সিজনে এখানে আসে। এখানেই বাচ্চা দেয়। আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে আবার চলে যায়। প্রত্যেক বছর এই সময়টাতে এখানে হাজার হাজার জনতা ভীর জমায়। এই সময়গুলোতে মানুষ অনেকটাই বিনোদন উপভোগ করে। এখানে কেউ পাখি শিকার করতে পারেনা। পাখিদের সুরক্ষার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads