• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

পাকিস্তানের প্রথম রূপান্তরকামী সংবাদপাঠক মারভিয়া মালিক

ইন্টারনেট

এশিয়া

পাকিস্তানের প্রথম রূপান্তরকামী সংবাদপাঠক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০১৮

পাকিস্তানের রূপান্তরকামী আন্দোলনের মুখ এখন তিনি।  সে দেশের প্রথম রূপান্তরকামী সংবাদপাঠক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পরেই তাকে কুর্নিশ জানিয়েছিল সারা বিশ্ব। সেই মারভিয়া নিজের দেশে রূপান্তরকামীদের অধিকার রক্ষার বিল পাশ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত। বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপে মারভিয়া মালিকের প্রতিক্রিয়া, ‘দারুণ দিন, ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

আনন্দবাজার জানায় মাস দেড়েক আগে লাহৌরের এক সংবাদ চ্যানেলে কাজে যোগ দেন মারভিয়া। তিনি বলেন, ‘চাকরি পেয়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল। যেন নতুন জন্ম হল। আমাদের দেশে রূপান্তরকামীদের যে অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। তা সবারই জানা। তাই আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।’ নিজের দেশে রূপান্তরকামীদের অধিকারের আন্দোলনকে আরো জোরদার করাই বরাবর লক্ষ্য ছিল মারভিয়ার। সেই লড়াইয়ে আরো সহায়ক হতে পারে নতুন আইন। তাই মারভিয়া বলেন, ‘এই প্রাপ্তি সত্যিই উৎসব করার মতো।’  

মারভিয়ার জীবনে এই উৎসবের দিন অবশ্য এসেছে অনেক ঝড়ঝাপটা সামলে। আর পাঁচজন রূপান্তরকামীর মতোই তার জীবনেও ছিল উপেক্ষা। নিজের পরিজনেরাও তাকে আপন করতে পারেননি। তবে বন্ধুরা পাশে ছিলেন। সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে মডেলিংও করেছেন মারভিয়া। তবে গণমাধ্যমে কাজ করা লক্ষ্য ছিল বরাবরই। এই চাকরির খবর পেয়েই তিনি আবেদন করেন। এখন গর্বিত তার পরিজনেরাও। মারভিয়ার ভাষায়, ‘এ আমার বিশাল প্রাপ্তি।’

যে চ্যানেলে তিনি কাজ করেন, সেই ‘কোহিনুর নিউজে’র বার্তা সম্পাদক বিলাল আশরফ বলেন, ‘তথাকথিত মূলস্রোতের বাইরে থাকা  মানুষেরা যে কারো থেকে কম যান না, মারভিয়ার কৃতিত্বই তার প্রমাণ। আর নতুন আইন মারভিয়ার মতো অনেককে প্রাপ্য অধিকার দিতে সাহায্য করবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সেই অধিকারকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।’ এই অবজ্ঞার বিরুদ্ধেই আরো লড়তে চান মারভিয়া। তিনি জানান, রূপান্তরকামীদের অধিকারের আন্দোলনকে আরো জোরদার করাই তার লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো জায়গার প্রান্তিক মানুষই যদি আমার লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা পান, তা হলেই তা সার্থক।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads