• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
প্রতিবেশীদের আতঙ্কিত  করছে চীন : ম্যাটিস

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস

সংরক্ষিত ছবি

এশিয়া

প্রতিবেশীদের আতঙ্কিত করছে চীন : ম্যাটিস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে বেইজিং প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ও বশে আনার চেষ্টা করছে। গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সম্মেলনে ম্যাটিস এ কথা বলেন। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

ম্যাটিসের মতে, বেইজিংয়ের এমন কর্মকাণ্ড দেশটির বৃহৎ লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বেইজিং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন করে বিভিন্ন জায়গায় জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং বৈদ্যুতিক জ্যামারসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। এর আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক যন্ত্রাংশ স্থাপন করেছিল চীন, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক জ্যামারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। চীন বরাবরই এসব কথা অস্বীকার করলেও দেশটি সামরিক উদ্দেশ্যেই এসব সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ও তাদের বশে রাখা।

ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। তবে প্রয়োজনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও প্রস্তুত। দক্ষিণ চীন সাগর অধ্যুষিত অঞ্চলে বেইজিংয়ের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকার করি। আগামী ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক হওয়ার কথা। এ উপলক্ষেই নিরাপত্তা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ম্যাটিস বলেন, আসন্ন ট্রাম্প-কিম বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য থাকা প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না। তবে কোরীয় উপদ্বীপে সম্পূর্ণরূপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। নিরাপত্তা সম্মেলনে দক্ষিণ কোরীয় মন্ত্রী সং ইয়ং-মো বলেন, উত্তরের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য অবস্থান একেবারেই ভিন্ন প্রসঙ্গ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের অন্যতম একটি বাণিজ্যিক রুট। ছয়টি দেশ এর মালিকানা দাবি করে। এই সাগরে চীনের বেশকিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য কিছু নৌ-সমরাস্ত্র সুবিধাও তৈরি করেছে তারা। চীন এ অঞ্চলের দ্বীপগুলোকে সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তর করতে চায় বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। গত মাসে দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাশেল দ্বীপপুঞ্জের ইয়োনজিং দ্বীপে প্রথমবারের মতো চীনের বোমারু বিমান অবতরণ করে। এ ঘটনাকে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশ্লেষকরা। ইয়োনজিং দ্বীপটি পশ্চিমে উডি আইল্যান্ড নামে পরিচিত। চীনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানও দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads