• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আফগানিস্তানে স্কুলে ঝরছে অর্ধেক শিশু

আফগানিস্তানে ৬০ শতাংশ মেয়েশিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে

ইন্টারনেট

এশিয়া

আফগানিস্তানে স্কুলে ঝরছে অর্ধেক শিশু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ জুন ২০১৮

আফগানিস্তানে যুদ্ধ, দারিদ্র্য, বাল্যবিয়ে ও লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে প্রায় অর্ধেক শিশু স্কুল থেকেই ঝরে পড়ে। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে প্রায় ৩৭ লাখ শিশু অর্থাৎ ৪৪ শতাংশ শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এর মধ্যে ২৭ লাখই মেয়েশিশু। অর্থাৎ ঝরে পড়া শিশুদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই মেয়েশিশু বলে ইউনিসেফের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার কারণে বাধ্য হয়ে বহু স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ২০০২ সালের পর স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে তিন লাখ আফগান শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়তে পারে। যেসব শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রাম বা মফস্বল এলাকার এবং তারা প্রায় সময়ই উদ্বাস্তুর মতো জীবনযাপন করছে।

তবে আফগানিস্তানে মেয়েশিশুদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। দেশটিতে প্রতি তিনজনের মধ্যে মাত্র একজন মেয়েশিশু স্কুলে যাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৬০ শতাংশ মেয়েশিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন- নারী শিক্ষার উন্নয়ন তো দূরের কথা, লাখ লাখ শিশু শ্রেণিকক্ষে পা রাখতেই পারেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- কান্দাহার, হেলমান্দ, ওয়ারদাক, পাকটিকা, জাবুল এবং উরুজগানের মতো ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মেয়েশিশু স্কুলে যাচ্ছে না। তবে আফগানিস্তানের মধ্য দাইকুন্দি প্রদেশ নারী শিক্ষার জন্য দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা বলে মনে করা হয়।

একটি সেমিনারে শিশু শিক্ষার এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী মিরওয়াইস বালখিও। তবে এর জন্য তালেবান আর আইএসের বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বছরের এপ্রিলেই দুটি স্কুল পুড়িয়ে দেয় তালেবান জঙ্গিরা। এমনকি শিশুদের স্কুলে পাঠালে হামলা চালানো হবে বলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে রাখে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।

ইউনিসেফের আফগান প্রতিনিধি আদেলে খদর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের ক্ষতিকর কাজে ব্যবহারের প্রবণতা এবং শোষণ বেড়ে যেতে পারে। নিরাপত্তা খাতে সরকারের আরো আন্তরিক ও ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads