থাইল্যান্ডের গুহায় অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছে বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দলের ডুবুরি। এদিকে আটকে পড়া ক্ষুদে ফুটবলারদের উদ্ধারকাজে যোগ দেওয়া এক ডুবুরি মারা গেছেন। অক্সিজেন সরবরাহ করে ফেরার পথে তিনি মারা যান।
গতকাল শুক্রবার সকালে বিবিসির খবরে জানানো হয়, তার নাম সামান খুনাম (৩৮)। তিনি থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ১২ ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ গুহায় আটকে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকাজে এসে তিনি যোগ দেন। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় তিনি আটকে পড়া ফুটবলারদের অক্সিজেন সরবরাহ সরঞ্জাম দিয়ে ফেরার পথে মারা যান। অক্সিজেনের অভাবে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় সহকর্মীরাও চেষ্টা করে তাকে বাঁচাতে পারেননি।
ডুবুরির এই মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে চিয়াং রাইয়ের ডেপুটি গভর্নর পাসাকর্ন বুনইয়ালাক জানান, তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল অক্সিজেন সরবরাহ করা। সরবরাহ শেষে গুহা থেকে ফেরার পথে তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন ছিল না।
দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় গত ২৩ জুন কোচসহ ১২ ক্ষুদে ফুটবলার আটকে পড়ে। এর ৯ দিন পর ২ জুলাই ওই ফুটবল দলকে খুঁজে পায় থাই নিরাপত্তা বাহিনী। ফুটবলাররা প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কোচের সঙ্গে গুহায় যায়। থাম লুয়াং গুহাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহার একটি। এখানে যাত্রাপথের দিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। সংযোগ পথও (করিডোর) বেশ সংকীর্ণ। ভারী বর্ষণ আর কাদায় থাম লুয়াংয়ের প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা গুহার ভেতরে আটকা পড়ে। ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া দলের সদস্যদের গুহায় থাকতে হতে পারে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাসও! ওই কিশোরদের সঙ্গে এখন দুজন ডুবুরি নিয়মিত গুহায় থাকছেন। তারা তাদের ডুব সাঁতার ও অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করা শেখাচ্ছেন। ডুবুরিরা কিশোরদের পানির নিচে যে অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়, তার ব্যবহার শেখাতে শুরু করেছেন।