• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ওজন কমলেও সুস্থ আছে থাই কিশোররা

১৭ দিন আটকা থেকে গড়ে দুই কেজি করে ওজন হারিয়েছে ১২ কিশোর

ছবি ইন্টারনেট

এশিয়া

ওজন কমলেও সুস্থ আছে থাই কিশোররা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০১৮

থাইল্যান্ডের বন্যাকবলিত পাহাড়ি গুহায় ১৭ দিন আটকা থেকে গড়ে দুই কেজি করে ওজন হারিয়েছে ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচ। এ ছাড়া কয়েকজনের জ্বর, হালকা কাশি ও হূৎস্পন্দন কম হচ্ছে। তবে মানসিকভাবে তারা বেশ উৎফুল্ল আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সিএনএন ও ডেইলি মেইলের খবর।

এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক থংচাই লের্টউইলাইরতনাপং বলেছেন, তারা ভালো অবস্থায় আছে এবং চাপের মধ্যে নেই। গুহার মধ্যেও ওই শিশুদের ভালো যত্ন নেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ কিশোরই গড়ে ২ কেজির মতো ওজন হারিয়েছে। তবে চিয়াং রাইয়ের প্রচারচক্রহ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এক চিকিৎসক বলেন, প্রথমে উদ্ধার হওয়া আট শিশুর জ্বর, হালকা কাশি ও হূৎস্পন্দন কম হচ্ছে। দুজনের ‘কেভ ডিজিজ’ নামে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে উদ্ধারকারী ব্যক্তিরা বলছেন, গুহায় সব ধরনের রোগের আশঙ্কা থাকে। সেখানে বাদুড়, দূষিত পানি থেকে রোগ ছড়ায়। গুহার সবকিছুই ময়লা। এ কারণে মূত্র, রক্ত আর ত্বকের নমুনায় রোগ দেখা যায়। আক্রান্তদের ছত্রাকনাশক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। গত মঙ্গলবার শেষ যে দলটিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের একজনের ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং পুরো দলের সবাইকে জলাতঙ্ক ও টিটেনাসের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থংচাই। গুহা থেকে শেষ দলটিকে উদ্ধারের পর তাদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে ৭০ কিলোমিটার দূরের চিয়াং রাই প্রাচানুকরহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দলটির আগে উদ্ধার পাওয়া বাকি কিশোররাও ওই হাসপাতালেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে।

এদের মধ্যে গত রোববার প্রথম যে চার কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের বাবা-মা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তাদের সুরক্ষামূলক পোশাক পরানো হয় এবং সাত ফুট দূর থেকে সন্তানদের দেখতে দেওয়া হয়েছে। এ সময় নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এক কিশোরের বাবা বলেন, আমি আমার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি।

গত ২৩ জুন এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ জয় উদযাপন করতে চিয়াং রাইয়ের ওই গুহায় প্রবেশ করে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ১২ কিশোর ফুটবলার। কিন্তু দেশের বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই বৃষ্টির কারণে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকা পড়ে যায় সেখানে। এরপর টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদের শনাক্ত করেন দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। এর পর গত রোববার বিশ্বের বেশ কিছু দেশকে সঙ্গে নিয়ে থাই সরকার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তিন দিনের সফল অভিযানে উদ্ধার হয় কোচসহ ক্ষুদে ফুটবলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads