• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মিয়ানমারে জব্দ জাহাজটি আনা হচ্ছিল বাংলাদেশে

ইয়াঙ্গুনের কাছে সাগরে ভাসছিল এই জাহাজটি

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া

মিয়ানমারে জব্দ জাহাজটি আনা হচ্ছিল বাংলাদেশে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের উপকূলে জব্দ ‘ভুতুড়ে’ জাহাজটির রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মালবাহী জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ভাঙার জন্য নেওয়া হচ্ছিল।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলের কাছে মারতাবান উপসাগরে বিশাল একটি মালবাহী জাহাজকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে দেখে বিস্মিত এবং শঙ্কিত হয়ে পড়ে কয়েক জেলে। জাহাজটি তখন উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ছিল।

জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তারা নাবিক, ক্রু ও পণ্যহীন অবস্থায় খালি জাহাজটিকে পায়। গত দুদিন ‘ভুতুড়ে’ জাহাজটি নিয়ে আলোচনার পর শনিবার মিয়ানমারের পুলিশ জানায়, ‘স্যাম রাতুলাংগি পিবি ১৬০০’ নামে কন্টেইনার জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার। এটিকে ভাঙার জন্য নেওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে। অন্য একটি জাহাজ এটিকে তার দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ঝড়ের কবলে পড়ে দুটো তারই ছিঁড়ে গেলে কন্টেইনার জাহাজটি পাইলট জাহাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের রাডারের রেকর্ড ঘেঁটে দুটি জাহাজ দেখতে পায়। পরে বিস্তর অনুসন্ধান করে উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পাইলট জাহাজটিকে খুঁজে পায়। মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নামে ইন্দোনেশীয় ওই পাইলট জাহাজটিতে ১৩ জন ক্রু ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ‘ভুতুড়ে’ জাহাজটির রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।

২০০১ সালে তৈরি মালবাহী জাহাজটি সম্প্রতি অকেজো বলে ঘোষিত হওয়ার পর সেটিকে ভাঙার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়া হচ্ছিল। এটির ওজন ২৬ হাজার ৫০০ টন। দুটো জাহাজই এখন মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কব্জায়। তারা জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads