• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই : মিয়ানমার সেনাপ্রধান

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং

সংরক্ষিত ছবি

এশিয়া

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই : মিয়ানমার সেনাপ্রধান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কোনও অধিকার নেই জাতিসংঘের। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের তদন্তকারীদের আহ্বানের এক সপ্তাহ পর এই মন্তব্য করলেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে 'গণহত্যা' চালানোর দায়ে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ অন্য শীর্ষ জেনারেলদের বিচারের মুখোমুখি করতে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা আহ্বান জানানোর এক সপ্তাহ পর রোববার সেনা সদস্যের উদ্দেশ্য দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়ানমারের সামরিকবাহিনী পরিচালিত একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির জানায়, এর মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে প্রতিক্রিয়া দিলেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।

মিয়ানমারের রাজনীতি থেকে সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার যে দাবি জাতিসংঘ জানিয়েছে তারও সমালোচনা করেন মিন অং হ্লাইং। তিনি বলেন, 'একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করার এবং দেশটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কোনো দেশ, সংস্থা বা গ্রুপের নেই।'
জাতিসংঘ জানায়, রাখাইনে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকারের মাত্রায় তারা অবাক হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনটিতে। সেখানে ছয়জন সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন সেনাপ্রধানও।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। এর ফলে গত এক বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads